পাম্পে পোস্টার। নিজস্ব চিত্র
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে ‘মাস্ক’ পরা বাধ্যতামূলক। কিন্তু ‘লকডাউন’-এর এক মাস করেও সচেতন নন সবাই। হুঁশ ফেরাতে নিজেদের মতো করে ব্যবস্থা নিয়েছে বর্ধমান শহরের বেশ কিছু পেট্রোল পাম্প এবং ওষুধের দোকান। পোস্টার ঝুলিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ‘মাস্ক না পরলে তেল নয়’ কিংবা ‘মাস্ক না থাকলে ওষুধ নয়’।
বছর কয়েক আগে গোটা জেলায় চালু হয়েছিল ‘নো হেলমেট, নো পেট্রোল’। তার জেরে হেলমেট পরার প্রবণতা কিছুটা বেড়েছিল বলে দাবি করে পুলিশ। যদিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই আইন কিছুটা শিথিল এখন। অনেক পাম্পেই খোলা মাথায় তেল ভরতে দেখা যায় মোটরবাইক আরোহীদের। করোনা-সংক্রমণ রুখতেও ওই পথেই হাঁটতে চলেছে জেলা।
পূর্ব বর্ধমানে ইতিমধ্যে দু’জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার এক যোগে ঘোষণা করেছে, রাস্তায় বার হলেই মাস্ক আবশ্যিক। তার পরেও জেলার বহু রাস্তায় পুলিশকে ‘মাস্ক’ ছাড়া, লোকজনকে ধরতে দেখা যাচ্ছে। নিয়ম ভাঙার লাগামে টান দিতেই এই পন্থা নেওয়া হয়েছে।
বর্ধমানের ওষুধ ব্যবসায়ী আশিস সাধু, পল্টু পাল, বিসি রোডের ব্যবসায়ী প্রশান্ত সাধু, চন্দ্রনাথ নন্দী, কাঞ্চন নগরের কমলাকান্ত ঘোষেরা বলেন, ‘‘বারবার বলা সত্ত্বেও অনেকেই ‘মাস্ক’ না পরে দোকানে আসছেন ওষুধ কিনতে। তাই সংগঠিত ভাবে এই রকম সিদ্ধাস্ত নেওয়া হয়েছে।’’ একই দাবি পেট্রোল পাম্প মালিকদের। ঢলদিঘি এলাকার পেট্রোল পাম্পের কর্মী সোমনাথ দাস, শ্রীমন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, কার্জন গেটের জয়দেব কুন্ডুরা বলেন, ‘‘মুখে মাস্ক না থাকলে কোনও ভাবেই তেল দেওয়া হচ্ছে না।’’ একই ছবি দেখা গিয়েছে বর্ধমান শহরের মেহেদিবাগান, ভাঙাকুঠি, খাগড়াগড়, ভোতারপাড়ের মতো এলাকাতেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy