আগের মতোই যাত্রী নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি কাটোয়ার বাসিন্দাদের। নিজস্ব চিত্র
করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে জেলায়। প্রশাসনের তরফ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আর্জি জানানো হচ্ছে নানা ভাবে। কিন্তু, প্রশাসনের নির্দেশ ছাড়াই কাটোয়া শহরে প্রচুর টোটো চলতে শুরু করেছে বলে অভিযোগ। এমনকি, সেগুলিতে গাদাগাদি করে যাত্রী তোলা হচ্ছে বলেও দাবি শহরবাসীর অনেকের। এর ফলে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকছে, মনে করছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে দু’জন যাত্রী নিয়ে টোটো চলাচলের ব্যবস্থা করা উচিত প্রশাসনের। কাটোয়া পুরসভার প্রশাসক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘করোনা সংক্রমণ দেশ জুড়েই বাড়ছে। তা খেয়াল রেখে টোটোচালক ও যাত্রীদের সচেতন হওয়া উচিত।’’
কাটোয়া পুরসভা ও স্থানীয় নানা সূত্রের দাবি, টানা ‘লকডাউন’-এর জেরে শহরের বহু টোটোচালক কর্মহীন হয়ে রয়েছেন। কোনও রোজগার না থাকায় তাঁদের সংসার চালাতে সমস্যা হচ্ছে। তাই ‘লকডাউন’ একটু শিথিল হতেই প্রশাসনের কোনও নির্দেশ আসার আগেই কেউ-কেউ টোটো নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েছেন। গত কয়েকদিনে ধাপে-ধাপে রাস্তায় নেমেছে বেশ কিছু টোটো। মূলত হাসপাতাল এলাকা থেকেই যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে অনেক টোটো, দাবি শহরবাসীর একাংশের। রাস্তায় কোনও কোনও জায়গায় সিভিক ভলান্টিয়ারদের নজরে পড়লে টোটো থেকে বাড়তি যাত্রী নামিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু তাতে স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না।
কাটোয়ার পঞ্চাননতলার বাসিন্দা অনিন্দ্য ভাস্করের বক্তব্য, ‘‘করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। তাই আমাদের আরও সর্তক হওয়া দরকার। গত কয়েকদিন ধরে যে ভাবে গাদাগাদি করে যাত্রী নিয়ে টোটো চলাচল করতে দেখছি, তাতে স্বাস্থ্যবিধি কিছুই মানা হচ্ছে না।’’ তাঁর মতো অনেকেই দাবি করেন, হাসপাতাল থেকে রোগী ও তাঁদের আত্মীয়দের নিয়ে আগের মতোই টোটো চলছে। এই সময়ে বাইরে থেকে অনেক লোকজন শহরে আসছেন। তাঁদের অনেকে টোটোয় যাতায়াত করছেন। টোটোগুলি জীবাণুমুক্তও করা হচ্ছে না। ফলে, সংক্রমণ ছড়ানোর ভয় থেকেই যাচ্ছে।
কাটোয়া শহরের টোটো মালিকদের সংগঠনের সম্পাদক শ্যামল মণ্ডলের বক্তব্য, ‘‘এক থেকে দু’জন যাত্রী নিয়ে টোটো চালানো শুরু হয়েছে। আমরাও চাই, দু’জনের বেশি যাত্রী যেন না তোলা হয়। নিয়ম ভাঙলে টোটো চালকদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নিক।’’
মহকুমাশাসক (কাটোয়া) প্রশান্তরাজ শুক্ল বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে পুলিশ ও পুরসভার সঙ্গে আলোচনা করে পদক্ষেপ করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy