একশো দিনের কাজ শুরু হয়েছে রায়নায়। নিজস্ব চিত্র
পরিকল্পনা ছিল, কাজ দিতে হবে বেশি সংখ্যক পরিবারকে। অর্থ বর্ষের শেষে পরিবার পিছু কাজ দেওয়ার নিরিখে রাজ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে পূর্ব বর্ধমান, দাবি জেলা প্রশাসনের। তবে কর্মদিবস তৈরি ও গড় কাজ দেওয়ার নিরিখে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে জেলা।
জেলাশাসক (পূর্ব বর্ধমান) বিজয় ভারতী দাবি করেন, ‘‘২০১৯-২০ আর্থিক বছরে আমাদের জেলা রাজ্যের মধ্যে সব চেয়ে বেশি পরিবারকে কাজ দিয়েছে।’’ জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে যেখানে প্রায় ৪ লক্ষ পরিবার কাজ পেয়েছিল, সেখানে গত অর্থবর্ষে প্রায় পাঁচ লক্ষ ৩৪ হাজার তা পেয়েছে।
গত কয়েকবছর ধরে কর্মদিবস তৈরিতে জোর দিয়েছিল পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। তাতে দেশের প্রথম সারিতেও উঠে এসেছিল জেলার নাম। প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত বছর অগস্টে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলায় এসে সব পরিবারকে কাজ দেওয়ার দিকে নজর দিতে বলেন। তার পর থেকেই পরিবার পিছু কাজের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা শুরু হয়।
প্রশাসনের একটি সূত্রের দাবি, ‘কাটমানি’ সংক্রান্ত ক্ষোভ-বিক্ষোভের জেরে নানা পঞ্চায়েত কাজ থেকে হাত গুটিয়ে নিয়েছিল। হাল ফেরাতে জেলা প্রশাসনকে আসরে নামতে হয়। ডিসেম্বরে অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) রজত নন্দ পঞ্চায়েতগুলিকে ‘কড়া’ চিঠি লেখার পরে, ফের কাজে গতি আসে।
প্রশাসন সূত্রে দাবি করা হয়েছে, বাংলা আবাস যোজনা, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র তৈরির মতো কাজের সঙ্গে একশো দিনের প্রকল্পের সংযুক্তিকরণে জোর দেওয়া হয়েছে। জেলার সেচখাল ও নালাগুলির সংস্কারেও নজর দেওয়া হয় সেচ দফতরের পরামর্শ মেনে। গড় কাজের চেয়ে বেশি পরিবারকে কাজ দেওয়ার নির্দেশ দেয় প্রশাসন। সে জন্য ২০১৮-১৯ বছরের চেয়ে গত বছরে প্রায় এক লক্ষ ৩৪ হাজার বেশি পরিবারকে কাজ দেওয়া গিয়েছে বলে মনে করছেন জেলার আধিকারিকেরা।
প্রশাসন সূত্রের খবর, বেশি পরিবারকে কাজ দিতে গিয়ে অবশ্য তার আগের বছরের চেয়ে অর্ধেকের কম গড় কাজ (৩৭ দিন) দেওয়া গিয়েছিল জেলায়। ২০১৮-১৯ বর্ষে প্রায় ৩ কোটি ৪২ লক্ষ কর্মদিবস তৈরি হয়েছিল। গত বছর শ্রম বাজেটে কর্মদিবস তৈরির লক্ষ্যমাত্রা ছিল প্রায় ২ কোটি ৩৪ লক্ষ। কার্যক্ষেত্রে তা হয়েছে প্রায় ২ কোটি ১ লক্ষ।
‘লকডাউন’ চলায় চলতি বছরের প্রথম থেকেই ১০০ দিন প্রকল্পের কাজ আটকে ছিল। ২০ এপ্রিল থেকে এই প্রকল্পে কম সংখ্যক শ্রমিক দিয়ে কাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার পর্যন্ত জেলায় ৪১ হাজার কর্মদিবস তৈরি হয়েছে। জেলাশাসক বলেন, ‘‘অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, বাংলা আবাস যোজনার মতো কাজ শুরু হয়েছে। সেচ-নালা সংস্কারের মতো কাজে পারস্পরিক দূরত্ব রাখতে বলা হয়েছে। কয়েকদিন পরে বৃক্ষরোপণ শুরু হয়ে যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy