শিল্পীদের প্রয়াস। সোমবার। নিজস্ব চিত্র
করোনা-সংক্রমণ রোধে কিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে কোনও খামতি রাখছেন না পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা। তার পরেও কিছু মানুষ সচেতন হচ্ছেন না বলে জেলার নানা প্রান্ত থেকে অভিযোগ উঠছে। অভিযোগের সত্যতাও অনেকাংশে মিলেছে। তাই এ বার ‘করোনা’ ও ‘যমরাজ’ সেজে প্রচারে নামলেন দুর্গাপুরের দুই শিল্পী।
‘যমরাজ’ শুভঙ্কর পাণ্ডা ও ‘করোনা’ কিশোরলালচাঁদ রজক সোমবার দুর্গাপুরের স্টেশন বাজার এলাকায় ঘুরে ঘুরে মানুষকে সচেতন করছেন। করোনাকে বলতে শোনা গেল, ‘‘এখনও সময় আছে। সচেতন হও। আমি করোনা, আমি কাউকে ছাড়ি না!’’ যমরাজ বললেন, ‘‘সমগ্র বিশ্বে করোনা তাণ্ডব চালাচ্ছে। যমপুরী ভরে গিয়েছে। আর যাতে কেউ না যান, সে জন্য স্থির থাকতে না পেরে আমি নেমে এসেছি। অনেকে এখনও মাস্ক পরেননি দেখছি। তাঁদের বলছি, হয় মাস্ক পরো। নয় আমার সঙ্গে চলো!’’
এ ভাবেই এই দুই শিল্পী স্টেশন বাজারের হাটতলা রোডে আনাজ ও মাছের বাজার, টিএন স্কুল মোড় ও টিএন স্কুল মাঠের আনাজ বাজারে ঘুরে বেড়ালেন। ‘মাস্ক’ না পরা কাউকে দেখলে বা নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় না রেখে দাঁড়ালে তাঁরা দু’জনে দৌড়ে গেলেন। করোনা ‘মৃত্যু-ভয়’ দেখালেন। যমরাজ সোজা সঙ্গে করে নিয়ে যাবেন বলে ‘ভয়’ দেখালেন। ‘মাস্ক’ পরে বাজারে আসা অভিনব রায় বললেন, ‘‘খুব ভাল উদ্যোগ। মানুষ যেন এ বার সচেতন হয়।’’ ‘মাস্ক’ পরে আসেনি কিশোর শিবনাথ বসু। সে বলে, ‘‘আমি এখন থেকে ‘মাস্ক’ না পরে আর বেরবো না।’’
এই উদ্যোগের নেপথ্যে রয়েছেন দুর্গাপুর পুরসভার ৪ নম্বর বরো চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় ও পুলিশ। দুর্গাপুর বাজার কমিটির সভাপতি সূর্য কেশ বলেন, ‘‘আমরাও নানা ভাবে ক্রেতাদের সচেতন করার চেষ্টা করেছি। অনেকে সচেতন হয়েছেন, আবার অনেকে এ সব পাত্তাই দিতে চাইছেন না। এ দিন পুরসভার তরফে নতুন ভাবে বার্তা দেওয়া হল। দেখা যাক কী হয়!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy