প্রতীকী ছবি।
‘লকডাউন’ পরিস্থিতিতে ‘কমিউনিটি কিচেন’ চালু করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। ইতিমধ্যেই রানিগঞ্জ ও দুর্গাপুরে এই কর্মসূচি চলছে।
গত ১৯ দিন ধরে জেকে নগরের বেলিয়াবাথানে ‘কমিউনিটি কিচেন’ চালাচ্ছে তৃণমূল। এই কর্মসূচির শুরু করেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি বিশ্বনাথ বাউড়ি, আসানসোল পুরসভার ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাঞ্চন তিওয়ারি। স্থানীয় জেমারি পঞ্চায়েতের সদস্য রুমা মুখোপাধ্যায় জানান, প্রতি দিন রাতে বেলিয়াবাথান, ওল্ড মাইনাস, চলবলপুর ও ১০ নম্বর এলাকার মোট ২৪০ জনকে খাবারের প্যাকেট দেওয়া হচ্ছে। প্রতি দিন তিনটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ৩০ জন সদস্য খাবার রান্না করছেন। এই উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত তৃণমূল নেতা পঙ্কজ যাদব জানান, শুরুতে মন্ত্রী মলয় ঘটক পাঁচ কুইন্টাল চাল ও তিন কুইন্টাল আলু দিয়েছিলেন। পাশে দাঁড়িয়েছেন এলাকাবাসীও। ‘লকডাউন’ শেষ না হওয়া পর্যন্ত খাবার বিলি করা হবে। দুর্গাপুরে ইতিমধ্যেই ৪ নম্বর বরো চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়, মেয়র পারিষদ (নিকাশি) প্রভাত চট্টোপাধ্যায়েরা ‘কমিউনিটি কিচেন’ চালু করেছেন।
শুক্রবার থেকে দুর্গাপুরের মুচিপাড়ায় ‘কমিউনিটি কিচেন’ চালু করেছে সিপিএম। ‘লকডাউন’ না ওঠা পর্যন্ত এই উদ্যোগ চলবে বলে সিপিএম জানায়। এ দিন, প্রায় হাজারখানেক মানুষকে রান্না করা খাবারের প্যাকেট দেওয়া হয় বলে জানান সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায়সরকার। পাশাপাশি, তিনি বলেন, ‘‘অনেকেই সাধ্যমতো সহযোগিতা করছেন। চিনের সাংহাই থেকে এ দিনই পাঁচ হাজার টাকা পাঠিয়েছেন সুরঞ্জনা ভট্টাচার্য।’’ আদতে সল্টলেকের বাসিন্দা সুরঞ্জনাদেবী জানান, তাঁর আসল বাড়ি সল্টলেকে। স্বামীর কর্মসূত্রে গত ১২ বছর সাংহাইয়ে রয়েছেন। তিনি ফোনে বলেন, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়ায় দুঃস্থদের সাহায্য করার কর্মসূচি জানতে পেরে সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি।’’ এর আগে খাদ্যসামগ্রী বিলির সময়েও দু’দফায় মোট সাত হাজার টাকা তিনি পাঠিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন সিটু নেতা সৌরভ দত্ত। এ দিন কর্মসূচিতে যোগ দেন দুর্গাপুর পূর্বের সিপিএম বিধায়ক সন্তোষ দেবরায়ও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy