‘কাছাকাছি’ বসেই কাজ শুরু। কাটোয়ায়। নিজস্ব চিত্র
গত পনেরো দিন ধরে হাত গুটিয়ে বাড়িতে বসেছিলেন কাটোয়ার বিড়ি শ্রমিকেরা। কাজ না থাকায় জমানো টাকাও ফুরিয়ে আসছিল। চাল, ডাল, আনাজ কিনতেও হিসেব কষতে হচ্ছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিড়ি শ্রমিকদের কাজে কিছুটা ছাড় দেওয়ায় খানিকটা স্বস্তিতে তাঁরা। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করার কথাও বলা হয়েছে।
শুক্রবার কাটোয়া বিড়ি শ্রমিক ভবনে অনেকটাই খুশির হাওয়া। ‘লকডাউন’-এর মাঝে বাড়ি বসে বিড়ি বাঁধা যাবে জেনে, স্বস্তিতে রূপা বিবি, কহোনা বিবিরা।
কাটোয়া শহরে প্রায় হাজার পাঁচেক বিড়ি শ্রমিক রয়েছেন। কেউ সমিতির মাধ্যমে বিড়ি তৈরি করেন। কেউ মালিকের কাছ থেকে কেন্দুপাতা, মশলা ও সুতো নিয়ে এসে বাড়িতে বিড়ি বাঁধেন। শ্রমিকদের একটা বড় অংশই মহিলা। হেঁশেল, সংসারের কাজ সামলে প্রতিদিন সাতশো থেকে হাজারখানেক বিড়ি তৈরি করেন তাঁরা। প্রতিদিন গড়ে দেড়শো থেকে ১৭০ টাকা রোজগার হয়।
বিড়ি শ্রমিক রূপা বিবি, কহোনা বিবিরা বলেন, ‘‘অভাবের সংসারে হাল ধরতে বাড়িতে বসেই বিড়ি বেঁধে মাসে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা রোজগার করতাম। কিন্তু লকডাউনের জন্য সব বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। মু্খ্যমন্ত্রী আমাদের কাজে কিছুটা ছাড় দেওয়ায় খুবই উপকার হয়েছে।’’ কাটোয়া বিড়ি শ্রমিক ভবনের সম্পাদক সাধন দাস বলেন, ‘‘শুধু আমাদের সমিতিতেই শ’পাঁচেক শ্রমিক কাজ করেন। খুবই সমস্যায় পড়েছিলাম। নতুন করে কাজ শুরু করতে পারায় ভরসা পাচ্ছি।’’ সবাই সতর্ক হয়ে কাজ করবেন বলেও তাঁর আশ্বাস।
কাটোয়ার পুরপ্রধান তথা বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ও বলেন, ‘‘ওঁরা প্রয়োজনীয় জিনিস এনে বাড়িতে বসেই কাজ করবেন। ফলে, জমায়েতের সম্ভাবনা নেই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করার কথা বলে হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy