প্রতীকী ছবি।
করোনা-পরিস্থিতিতে ডেঙ্গি নিয়ে বাড়ি-বাড়ি সমীক্ষা চালানোর অনুমতি মেলেনি। দ্রুত সেই অনুমতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশ। ‘পশ্চিমবঙ্গ পৌর স্বাস্থ্যকর্মী ইউনিয়ন’-এর সভাপতি সুচেতা কুণ্ডু জানান, গত ১৬ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরে পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীদের তরফে এ বিষয়ে অনুমতি চেয়ে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়।
সুচেতাদেবী জানান, এই মুহূর্তে করোনা-সতর্কতা প্রচারে কাজ করছেন রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা। পাশাপাশি, ডেঙ্গি-সমীক্ষার কাজ করার অনুমতি পেলে সুবিধা হত তাঁদের, জানায় সংগঠনটি।
স্বাস্থ্যকর্মীরা জানান, ‘স্বাস্থ্য ক্যালেন্ডার’ অনুযায়ী গত ৬ এপ্রিল থেকে ডেঙ্গি নিয়ে বাড়ি-বাড়ি সমীক্ষা কাজ শুরুর কথা ছিল। কিন্তু করোনা-পরিস্থিতির জেরে সব বন্ধ। গত ১০ ও ১৮ এপ্রিল দু’দফায় পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর থেকে রাজ্যের ১২৬টি পুরসভাকে চিঠি পাঠিয়ে জানায়, ডেঙ্গি নিয়ে বাকি কর্মসূচি চালু থাকলেও বাড়ি-বাড়ি স্বাস্থ্যকর্মীদের গিয়ে কাজ করার কর্মসূচি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
কিন্তু ডেঙ্গি-সমীক্ষা চালু করার দাবি উঠছে কেন? মূলত এর দু’টি দিক। স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশের দাবি, প্রথমত, ডেঙ্গি-সমীক্ষার কাজ কোনও ভাবেই দেরিতে করাটা ঠিক নয়। দ্বিতীয়ত, সুচেতাদেবীর বক্তব্য, ‘‘মাসে মাত্র ৩,১২৫ টাকা করে পান স্বাস্থ্যকর্মীরা। ডেঙ্গি-সমীক্ষার কাজের জন্য তাঁরা কিছু অতিরিক্ত টাকা পান। এই মুহূর্তে করোনা নিয়ে কাজ করছেন তাঁরা। এই সময়েই ডেঙ্গি নিয়ে কাজও করে ফেলতেন তাঁরা।’’ তিনি জানান, করোনা নিয়ে কাজ করার জন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের আগামী ছ’মাস ধরে পাঁচ হাজার টাকা বিশেষ অনুদান দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের কাছে।
এ দিকে, দুর্গাপুরে মশার উপদ্রব ইদানীং বেশ বেড়েছে বলে অভিযোগ শহরবাসীর একাংশের। অতীতে কয়েক বছর ধরে দুর্গাপুরে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়া, মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। দুর্গাপুরের স্বাস্থ্যকর্মীরা জানান, ডেঙ্গি নিয়ে প্রতি বছর সচেতনতা প্রচারের জন্য বাড়ি-বাড়ি ঘুরে সমীক্ষা করা হয়। বাড়িতে জল জমিয়ে না রাখা-সহ নানা ধরনের সচেতনতামূলক প্রচারপত্রও (‘লিফলেট’) দেওয়া হয়। অন্য বছর এই সময়ে সেই কাজ প্রায় শেষ হয়ে যায়। কিন্তু এ বার শুরুই হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্যকর্মীরা জানান, তাঁদের তৈরি থাকার নির্দেশ দিয়েছে দুর্গাপুর পুরসভা। দুর্গাপুরের মেয়র দিলীপ অগস্তি বলেন, ‘‘পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের তরফে যেমন নির্দেশিকা আসবে তেমনই পদক্ষেপ করা হবে। এ বিষয়ে পুরসভার কিছু
করার নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy