পুলিশের সাহায্য। উপরে, বাড়ি ফিরছেন ছত্তীসগঢ়ের বাসিন্দারা। নিজস্ব চিত্র
খোলা আকাশের তলায় ছত্তীসগঢ়ের একটি পরিবার রাত কাটাচ্ছিল। তা দেখে পাঁচ জনের ওই পরিবারটিকে বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করল পশ্চিম বর্ধমানের কুলটি থানার চৌরঙ্গি ফাঁড়ি।
পুলিশ জানায়, ওই রাজ্যের রায়গঢ় জেলার চক্রধরনগরের বাসিন্দা বেবি সিংহ-সহ তিন মহিলা ও দুই নাবালকের ওই দলটি অসমের কামরূপ-কামাক্ষ্যায় তীর্থে গিয়েছিল। বেবিদেবী জানান, বাড়ি থেকে বেরনোর সময়ে দেশে ‘লকডাউন’ হয়নি। ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগের রাতে তাঁরা অসম থেকে হাওড়া স্টেশনে নামেন। এর পরে হাওড়া জিআরপি-র সাহায্যে তাঁরা দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার (এসবিএসটিসি) বাসে চড়ে বুধবার রাতে কুলটির ডুবুরডিহিতে পশ্চিমবঙ্গ-ঝাড়খণ্ড সীমানায় চলে আসেন।
এর পরে সেখানেই খোলা আকাশের নীচে সময় কাটছিল পরিবারটির। ফাঁড়ির পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে শিবিরে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে। শুক্রবার একটি গাড়ি ভাড়া করে পুলিশ ওই পরিবারটিকে ছত্তীসগঢ়ে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। গাড়িতে চাপতে চাপতে বেবিদেবী বলেন, ‘‘আমরা অথৈ জলে পড়েছিলাম৷ পুলিশ সব রকম ব্যবস্থা করে দিয়েছে। ধন্যবাদ।’’
পাশাপাশি, কর্নাটকের বিজাপুর থেকে আসা ২৫ জনের একটি দল আটকে পড়েছে পানাগড়ে। দলটি মাস পাঁচেক আগে কৃষ্ণনগরে আসে। সেখানে প্লাস্টিকের সামগ্রী বিক্রি করত তাঁরা। কাঁকসা থানা দলটিকে পানাগড়ের গুরুদ্বারে আশ্রয়ের ও খাওয়ার ব্যবস্থা করে। গুরুদ্বারের তরফে হরবংশ সিংহ জানান, যত দিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হবে, তত দিন এখানেই থাকবে দলটি।
আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট জানায়, ছত্তীসগঢ় ও কর্নাটকের দু'টি দলেরই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়। তাঁরা সকলেই সুস্থ আছেন। প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy