বিক্ষোভ তুলতে হাজির পুলিশ। নিজস্ব চিত্র
রেশন কার্ডহীনদের রেশনের ব্যবস্থা করা-সহ নানা দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল ডিওয়াইএফের। এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও সংগঠনের কর্মীদের মধ্যে বচসা তৈরি হয়। বুধবার রানিগঞ্জে আসানসোল পুরসভার ২ নম্বর বরো কার্যালয়ের সামনের ঘটনা। সংগঠনের এক নেতাকে আটক করাকে কেন্দ্র করেও চাপান-উতোর তৈরি হয়।
ডিওয়াইএফ জানায়, এ দিন অবস্থান-বিক্ষোভ চলছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বরো চেয়ারম্যান সঙ্গীতা সারদা অফিসে না থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে স্লোগান দিতে শুরু করেন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এর পরেই রানিগঞ্জ থানার এক পুলিশকর্মী ঘটনাস্থলে এসে অবস্থানকারীদের স্মারকলিপি নির্দিষ্ট বাক্সে ফেলে চলে যেতে বলেন। তা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় বচসা।
ঘটনাস্থলে পৌঁছে অফিসার ইনচার্জ (রানিগঞ্জ থানা) বিধি ভেঙে জমায়েতের কথা বললে ফের বচসা বাধে। আটক করা হয় ডিওয়াইএফের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হেমন্ত প্রভাকরকে। পরে অবশ্য তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ঘটনা প্রসঙ্গে হেমন্তবাবু এবং সংগঠনের জেলা সভাপতি সাগর বন্দ্যোপাধ্যায়দের অভিযোগ, ‘‘নিয়ম মেনে অবস্থান চলছিল। আমরা বরো চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করার দাবিতে অনড় থাকায় পুলিশ অতি-সক্রিয়তা দেখিয়েছে।’’ রানিগঞ্জের সিপিএম বিধায়ক রুনু দত্তের অভিযোগ, ‘‘হাট থেকে মদের দোকান, ভিড় সামলাতে পুলিশ ব্যর্থ। সেখানে নিয়ম মেনে অবস্থান করা সত্ত্বেও ডিওয়াইএফ-এর নেতা, কর্মীদের হয়রান করেছে পুলিশ।’’
রানিগঞ্জ থানা অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, জমায়েত সরাতে এক জনকে আটক করা হয়েছিল। পরে ব্যক্তিগত জামিনে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ দিকে, ডিওয়াইএফ সুষ্ঠু রেশন ব্যবস্থা, সর্বত্র জীবাণুনাশক ছড়ানো, বিভিন্ন জায়গায় আটকে থাকা বাসিন্দাদের বাড়ি ফেরানো, সব সরকারি কর্মীদের ‘মাস্ক’-সহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ, রানিগঞ্জে ‘আইসোলেশন কেন্দ্র’ তৈরি-সহ নানা দাবি জানিয়েছে। বিষয়গুলি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে বরো অফিস।
আসানসোল পুরসভার মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, ‘‘ওই বরোর চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। তা জানা সত্ত্বেও বামেরা বারবার তাঁকে অফিসে আসতে হবে, দাবি জানাচ্ছেন। তাঁদের এ দিনের দাবিদাওয়া খতিয়ে দেখা হবে।’’ যদিও সিপিএম বিধায়ক রুনুবাবুর এ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া, ‘‘সঙ্গীতাদেবী অসুস্থ হলে ওঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। কিন্তু দীর্ঘদিন উনি নিষ্ক্রিয় থাকায় ওঁর জায়গায় অন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হোক।’’
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy