Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪
Weavers

শাড়ির নকশা, রঙের ছোঁয়া মাস্কেও

কালনা ‘উইভার্স আর্টিজেন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’র তরফে তপন মোদক বলেন, ‘‘সব পোশাকের সঙ্গেই মাস্ক পরতে হবে। অনেক ক্রেতা দামী শাড়ির সঙ্গে রং এবং নকশার সাযুয্য রেখে মাস্ক চাইছেন। সেই কথা মাথায় রেখেই শাড়ি দেখে দেখে মাস্ক বানানো হয়েছে।’’

জামার সঙ্গে মানানসই মাস্ক। নিজস্ব চিত্র।

জামার সঙ্গে মানানসই মাস্ক। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কালনা শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২০ ২৩:৩০
Share: Save:

সংক্রমণ কমেনি, তবে করোনা-আবহেই দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি তুঙ্গে। ব্যবসায়ীরাও চৈত্র সেল থেকে ব্যবসা মার খাওয়ার ধাক্কা পুজোতে একটু সামলে নিতে চাইছেন। ক্রেতা টানতে তাঁদের ভরসা ‘নিউ নর্মাল’ জীবনের জরুরি অঙ্গ মাস্ক। নতুন পোশাকের সঙ্গে বিনামূল্যে ম্যাচিং মুখচ্ছদ দিচ্ছেন কালনার অনেক ব্যবসায়ী।

কালনা ‘উইভার্স আর্টিজেন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’র তৈরি মসলিন শাড়ি দেশ-বিদেশে বিক্রি হয়। এ বার এখনও পর্যন্ত আড়াইশোটি শাড়ি ইংল্যান্ড ও দেশের দিল্লি, কলকাতা, বহরমপুরে বিক্রি করেছেন তাঁরা। তিনশো থেকে পাঁচশো কাউন্টের সুতোয় তৈরি শাড়ি বিকিয়েছে সাত থেকে ১৫ হাজার টাকায়। সংস্থার দাবি, শাড়ি পিছু একটি করে মসলিন সুতোয় বোনা দ্বিস্তরীয় মাস্ক দিয়েছেন তাঁরা। সংস্থার তরফে তপন মোদক বলেন, ‘‘সব পোশাকের সঙ্গেই মাস্ক পরতে হবে। অনেক ক্রেতা দামী শাড়ির সঙ্গে রং এবং নকশার সাযুয্য রেখে মাস্ক চাইছেন। সেই কথা মাথায় রেখেই শাড়ি দেখে দেখে মাস্ক বানানো হয়েছে।’’ শাড়ি ছাড়াও সালোয়ার-কামিজ, লেহেঙ্গা, লম্বা ঝুলের ফ্রকের সঙ্গেও মানানসই মাস্ক খুঁজছেন অনেকে। পূর্বস্থলীর এক ব্যবসায়ী গোপাল ঘোষের দাবি, ‘‘মাঝারি বা দামী শাড়িতে বেশ কিছু সংস্থা কাপড়ের নকশা অনুযায়ী মাস্ক তৈরি করে পাঠিয়েছে। ক্রেতাদের বিনামূল্যে ওই মাস্ক দেওয়া হচ্ছে।’’

কালনার পুরনো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সারা বছর নিজের দোকানে চুড়িদারম-কামিজ তৈরি করে বিক্রি করেন খোকন শেখ। পুজোর মাস দু’য়েক আগে থেকে বাড়ে বরাত। তাঁর কথায়, ‘‘বহু কামিজের কাপড়ের সঙ্গে মাস্কের কাপড় দেওয়া থাকছে। সেই মতো মাস্ক বানিয়ে দিচ্ছি। কেউ কেউ এক রং মাস্কে অন্য কাপড় বা নকশা বসিয়ে বাহারি করে নিচ্ছেন।’’ তবে মাস্ক বানানোর জন্য আলাদা টাকা নেওয়া হচ্ছে না, দাবি তাঁর। ব্যবসায়ীরা জানান, ছেলেরাও অনেকে জিনসের কাপড় বা টি-শার্টের সঙ্গে রং মিলিয়ে মাস্ক খুঁজছেন।

কালনা শহরের এক কলেজ পড়ুয়া প্রিয়াঙ্কা দাস বলেন, ‘‘এ বার করোনা পরিস্থিতিতে মাস্ক ছাড়া, ঘোরাফেরা করা অসম্ভব। নতুন পোশাকের সঙ্গে ঠিকঠাক মাস্ক না হলে চলবে না। তাই পোশাক অনুযায়ী, আলাদা আলাদা মাস্ক পরব।’’ আর এক তরুণী বর্ণা মণ্ডলেরও দাবি, ‘‘করোনার থেকে দূরে থাকতে গেলে মাস্ক পরতেই হবে। তাই বাজার থেকে বেশ কিছু রঙিন মাস্ক কিনে রেখেছি।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Weavers Masks Coronavirus in West Bengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE