Advertisement
১৯ জানুয়ারি ২০২৫
Coronavirus

পর্যাপ্ত সুরক্ষা ছাড়াই কাজে স্বাস্থ্যকর্মীরা, সংগঠনের অভিযোগ

পূর্ব বর্ধমানের ছ’টি পুরসভায় প্রায় ২০৯ জন স্বাস্থ্যকর্মী (এইচএইচডব্লিউ) রয়েছেন। তার মধ্যে বর্ধমান শহরের জন্য রয়েছেন ৯৩ জন।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২০ ০১:৫৪
Share: Save:

বাড়ি-বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্যের খোঁজ নেওয়ার দায়িত্বে রয়েছেন তাঁরা। বিভিন্ন ‘কোয়রান্টিন’ কেন্দ্রে বাসিন্দাদের ‘থার্মাল স্ক্রিনিং’ করতেও হচ্ছে তাঁদের। করোনা-পরিস্থিতিতে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হলেও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা-সুরক্ষার বালাই নেই স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য, উঠছে এমন অভিযোগ। খাতায়-কলমে ‘স্বেচ্ছাসেবী’ হওয়ার কারণে উপযুক্ত সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকেও তাঁরা বঞ্চিত, দাবি ওই কর্মীদের।

পূর্ব বর্ধমানের ছ’টি পুরসভায় প্রায় ২০৯ জন স্বাস্থ্যকর্মী (এইচএইচডব্লিউ) রয়েছেন। তার মধ্যে বর্ধমান শহরের জন্য রয়েছেন ৯৩ জন। তাঁরা জানান, গত দেড় মাস ধরে করোনা প্রতিরোধে কাজ করছেন। প্রথম দিকে শহরের বাইরে থেকে কারা আসছেন, খোঁজ নিয়ে জেলা স্বাস্থ্য দফতরে রিপোর্ট করতে হচ্ছিল। বিভিন্ন শিবিরে আটকে থাকা শ্রমিকদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করতে হচ্ছিল। এখন বাড়ি-বাড়ি গিয়ে তথ্য আনতে হচ্ছে।

ওই স্বাস্থ্যকর্মীদের অনেকেরই অভিযোগ, ঝুঁকিপূর্ণ কাজের জন্য সুরক্ষার কার্যত কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি তাঁদের জন্য। সবাই ‘পিপিই’ পাননি। যাঁরা পেয়েছেন তাঁদের অভিযোগ, গুণগত মান খারাপ। পরে থাকা কষ্টকর, চর্মরোগ দেখা দিচ্ছে বলেও অনেকে দাবি করেছেন। ‘পশ্চিমবঙ্গ পৌর স্বাস্থ্যকর্মী’ সংগঠনের রাজ্য সভানেত্রী সুচেতা কুণ্ডু দাবি করেন, ‘‘আশাকর্মীরা প্রতি মাসে ভাল উৎসাহ ভাতা পান। শহরাঞ্চলে ডেঙ্গি-সংক্রান্ত কাজ বন্ধ থাকায় পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা উৎসাহ ভাতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বেতনের অবস্থাও তথৈবচ। অথচ, তাঁদের নিধিরাম সর্দার হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নামতে হচ্ছে। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর দফতর, পরামর্শদাতা কমিটির কাছে একগুচ্ছ দাবি জানিয়েছি।’’

এ ছাড়া, নিয়মিত ভাবে জননী সুরক্ষা যোজনা, জননী-শিশু সুরক্ষা যোজনা, টিকাকরণ, জন্ম নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত কাজ, পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর চালানোর ভার ওই স্বাস্থ্যকর্মীদের উপরে। বর্ধমানের কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মীর অভিযোগ, ‘‘এই শহরে ৯০ হাজারের বেশি বাড়ি রয়েছে। এ ছাড়া আবাসন, বস্তি, ভাড়া নিয়ে রয়েছেন, এমন অনেক বাসিন্দা আছেন। এক-এক জন স্বাস্থ্যকর্মীকে গড়ে দেড় হাজার বাড়ি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হচ্ছে, যা যথেষ্ট অমানবিক।’’ তাঁরা জানান, গত ৯ বছর ধরে ৩,১২৫ টাকা বেতন মেলে। সরকারি খাতায় এঁরা ‘স্বেচ্ছাসেবী’। সে জন্য তাঁরা সরকারি আর্থিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

সোমবার পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীদের দু’মাসের জন্য এক হাজার টাকা করে উৎসাহ ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন। কিন্তু পূর্ব বর্ধমানের দাঁইহাট, মেমারি ও গুসকরার স্বাস্থ্যকর্মীরা ওই ভাতা পাবেন না বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘পঞ্চাশ হাজারের কম বাসিন্দা রয়েছেন, এমন পুরসভাগুলির স্বাস্থ্যকর্মীরা জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের মধ্যে নেই।’’ সুচেতাদেবীর বক্তব্য, ‘‘ওই তিনটি পুরসভার কর্মীদের কিন্তু জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের কাজকর্মও করতে হচ্ছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy