ছবি: সংগৃহীত
ভিন্ রাজ্য থেকে জ্বর, কাশি নিয়ে সোমবার ঘরে ফিরেছেন এক ব্যক্তি। গ্রামবাসীদের কথায়, এ দিনই আউশগ্রামের বননবগ্রাম স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য যান তিনি। উপসর্গ দেখেই তাঁকে রেফার করে দেওয়া হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। কিন্তু গাড়ি না থাকায় ঘণ্টা পাঁচেক ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বাইরে বসেছিলেন তিনি। শেষমেশ বিকেল ৫টা নাগাদ একটি অ্যাম্বুল্যান্সে বর্ধমানে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। ততক্ষণে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে কোনও গাড়ি তাঁকে নিয়ে যেতে চাইছিলেন না। স্থানীয় লোকজনও সাহায্যে এগিয়ে আসেননি। এর সঙ্গেই সর্দি, জ্বরের উপসর্গ নিয়ে যত রোগী আসছেন সেই তুলনায় মাস্ক, স্যানিটাইজ়ার নেই বলেও ক্ষোভ জানান স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মীরা। উত্তর রামনগর এলাকার ওই বাসিন্দা জানান, দিন দশেক ধরে জ্বর, বমি-পায়খানা এবং মাথার যন্ত্রণায় ভুগছেন তিনি। পুণেতে চিকিৎসাও করান। এ দিন বাড়ি ফিরতেই গ্রামের কয়েকজন বলেন পরীক্ষা করাতে হবে। তাঁর দাবি, “হাসপাতালের ওয়ার্ডের ভিতরে ঢুকতে মানা করা হয়। বাইরেই মাস্ক লাগিয়ে দিয়ে চিকিৎসা করে বর্ধমানে রেফার করে দেন ডাক্তারবাবু।’’
আউশগ্রাম ১ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ধীমান মণ্ডল জানান, ওই রোগীর সঙ্গে কেউ ছিলেন না। মাতৃযান ছাড়া অন্য কোনও গাড়ি না থাকায় তাঁকে প্রথমে বর্ধমানে পাঠানো যায়নি। পরে ব্যবস্থা করা হয়। আউশগ্রাম ১-এর বিডিও চিত্তজিৎ বসু বলেন, “এক জন রোগীকে নিয়ে ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অন্য রোগী এবং তাঁদের পরিজনেদের মধ্যে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। পরে অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়ে তাঁকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’’
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব রায় বলেন, ‘‘পুণে থেকে ওই ব্যক্তি এসেছেন বলে জানা গিয়েছে। ওঁকে আপাতত বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। পরীক্ষা করলে বোঝা যাবে। তবে আতঙ্কের কিছু নেই।’’ তিনি জানান, ওই এলাকায় স্বাস্থ্য দফতরের দল পাঠানো হয়েছে। তাঁরা প্রচার চালাবেন। জেলার চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ৪০ হাজার মাস্কের বরাত দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ দিন জেলায় হোম কোয়রান্টিনে থাকার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ জনে। জেলা প্রশাসন ঠিক করেছে, আজ, মঙ্গলবার থেকে বর্ধমান স্টেশনে করোনাভাইরাস নিয়ে বিশেষ শিবির খোলা হবে। সচেতনতা, স্বাস্থ্যপরীক্ষার সঙ্গে পর্যবেক্ষণেও রাখা হবে। এ ছাড়াও সাধনপুরে কৃষি খামারে রাস্তার ধারে তৈরি হওয়া নতুন উপ কৃষি অধিকর্তার দফতরে ১৩৮ শয্যার কোয়রান্টিন কেন্দ্র খোলা হবে। যার মধ্যে ৫০ শয্যা চলে এসেছে বলে জেলাশাসক বিজয় ভারতী জানিয়েছেন। এ দিন তিনি বলেন, “প্রশাসনিক সভাও কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’ কাটোয়া, কালনাতেও শিবির খোলার কথা ভাবা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy