প্রতীকী ছবি
বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন দুই বৃদ্ধ। তাঁদের সরকারি ভাবে করোনা-চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট কাঁকসার মলানদিঘির বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রবিবার এমনটাই জানিয়েছে মহকুমা প্রশাসন (দুর্গাপুর)।
মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সত্তোরর্ধ্ব ওই দুই ব্যক্তিই দুর্গাপুরের ডিএসপি টাউনশিপের দু’টি জ়োনের বাসিন্দা। দু’জনেই দুর্গাপুরের গাঁধী মোড়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মহকুমাশাসক (দুর্গাপুর) অনির্বাণ কোলে এ দিন জানান, বেসরকারি হাসপাতাল থেকে বেসরকারি ল্যাবরেটরিতে ওই দুই রোগীর নমুনা পাঠানো হয়েছিল। দু’জনেরই করোনা-রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে। তবে ফের তাঁদের নমুনা পরীক্ষা করা হবে সরকারি ল্যাবরেটরিতে। মহকুমাশাসক বলেন, ‘‘সেই রিপোর্ট পজ়িটিভ এলে তবেই তাঁরা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলা যাবে। না হলে, তা বলা যাবে না।’’
ওই বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এ-জ়োনের বাসিন্দা এক বৃদ্ধ কিডনির সমস্যা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন গত শুক্রবার। বৃদ্ধের এক ছেলে পেশায় একটি কারখানার কর্মী। তিনি বলেন, “আমার বাড়ির সদস্যেরা কেউ বাইরে যাননি। কেউ বাইরে থেকে আসেননি। তবে আমরা উপযুক্ত সতর্কতা নিয়েছি।’’
মহকুমা প্রশাসন জানিয়েছে, ওই হাসপাতালেই বি-জ়োনের বাসিন্দা অন্য এক বৃদ্ধ গত ৬ মে ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। এ দিন দুপুরে ওই ব্যক্তিরও বেসরকারি ল্যাবরেটরিতে করা নমুনা পরীক্ষায় করোনা-পজ়িটিভ আসে।
মহকুমাশাসক জানিয়েছেন, দু’জনের পরিবারের লোকজনের নমুনা পরীক্ষা করানো হবে। রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত তাঁরা ‘আইসোলেশন’-এ থাকবেন। এ ছাড়াও দু’জনের সংস্পর্শে আসা লোকজনকে চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছে স্বাস্থ্য দফতর। সেই তালিকা তৈরি করে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী পদক্ষেপ করবে দফতর। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’টি পরিবারের মোট এগারো জন সদস্যকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের ‘আইসোলেশন ওয়ার্ড’--এ পাঠানো হচ্ছে। কমিশনারেটের ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্ত বলেন, ‘‘ওই দুই বৃদ্ধ ও তাঁদের পরিবারের কারও ‘ট্রাভেল হিস্ট্রি’ পাওয়া যায়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy