Advertisement
১৯ নভেম্বর ২০২৪
ক্ষোভ রসুইয়ের বাসিন্দাদের

নিষেধের পরে দেদার বালি তোলা অজয়ে

কেতুগ্রাম ২ ব্লকের বিল্লেশ্বর পঞ্চায়েতের রসুই গ্রামকে তিন দিক দিয়ে ঘিরে রখেছে অজয়। কেতুগ্রামে নারেঙ্গা থেকে বারান্দা পর্যন্ত বিস্তৃত অজয়ের মাটির বাঁধ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গ্রামের কাছেই মঙ্গলকোটের শ্যামবাজার মৌজার ঘাট থেকে সময়সীমা পেরনোর পরেও বালি তুলছে ইজারাদার। স্থানীয় তপন রায়, রথরাজ ঘোষদের দাবি, শুধু রাতে নয়, দিনেও বালি কাটা চলছে। অতিরিক্ত বালিবোঝাই ট্রাক চলাচলে বেহাল ভুলকুড়ি থেকে রসুই পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার রাস্তাও।

অবাধ: রসুইয়ের ঘাটে যন্ত্র দিয়ে বালি তোলা। নিজস্ব চিত্র।

অবাধ: রসুইয়ের ঘাটে যন্ত্র দিয়ে বালি তোলা। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাটোয়া শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০১৭ ০১:০৪
Share: Save:

বাঁধ কেটে বালি পাচারের অভিযোগ ছিলই। এ বার বর্ষায় বালি তোলায় নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার পরেও ওই ঘাট থেকেই অবৈধ ভাবে বালি পাচারের অভিযোগ তুললেন বাসিন্দারা। কেতুগ্রামের রসুইয়ের বাসিন্দাদের দাবি, অতিরিক্ত বালি বোঝাই ট্রাক যাতায়াতে রাস্তা ভেঙেছে। মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা।

কেতুগ্রাম ২ ব্লকের বিল্লেশ্বর পঞ্চায়েতের রসুই গ্রামকে তিন দিক দিয়ে ঘিরে রখেছে অজয়। কেতুগ্রামে নারেঙ্গা থেকে বারান্দা পর্যন্ত বিস্তৃত অজয়ের মাটির বাঁধ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গ্রামের কাছেই মঙ্গলকোটের শ্যামবাজার মৌজার ঘাট থেকে সময়সীমা পেরনোর পরেও বালি তুলছে ইজারাদার। স্থানীয় তপন রায়, রথরাজ ঘোষদের দাবি, শুধু রাতে নয়, দিনেও বালি কাটা চলছে। অতিরিক্ত বালিবোঝাই ট্রাক চলাচলে বেহাল ভুলকুড়ি থেকে রসুই পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার রাস্তাও। রসুই, শিবলুন, কোপা, বারান্দার মতো গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি, জল, খানাখন্দে ভরা ওই রাস্তা দিয়ে বর্ষায় যাতায়াতই দায়।

মাসখানেক আগেও শ্যামবাজার ঘাট থেক বালি তুলে পাচারের জন্য ৯ ফুট গভীর ও ১২ ফুট চওড়া করে গর্ত করে কেটে ফেলা হয়েছিল বাঁধের পশ্চিম দিকের বিস্তীর্ন অংশ। এর জেরে খাদে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটার পাশাপাশি বর্ষায় অজয়ের জল ওই কাটা অংশ দিয়ে ঢুকে রসুই-সহ কেতুগ্রাম ২ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় ছিলেন বাসিন্দারা। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাঁধের দু’দিকে র‌্যাম্প তৈরি করে দেয় ইজারাদার। যদিও স্থানীয় জয়দেব পণ্ডিত, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তীদের দাবি, এখনও ফুটচারেক গর্ত রয়ে গিয়েছে।

এ বছর বর্ষায় বন্যা থেকে নদী বাঁধ সুরক্ষিত রাখতে প্রথমে ১৫ই জুনের পর থেকে বালি তোলায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে জেলা প্রশাসন। পরে সেই সিদ্ধান্ত পিছিয়ে চালু হয় ২৫শে জুন থেকে। তবে শ্যামবাজার ঘটের ইজারাদার নজমূল হক বালি তোলার কথা মানতে চাননি। মঙ্গলকোটের ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক রূপবিলাস মণ্ডল বলেন, ‘‘শুনেছি ২৫ জুনের আগে আগেই বালি তুলে জমা করা ছিল ওই ঘাটে, তা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।’’ তাঁর দাবি, নভেম্বরের আগে নতুন চালান দেওয়া হবে না। দু’পক্ষের সঙ্গে কথা বলে আলোচনার আশ্বাস দিয়েছেন কাটোয়ার মহকুমাশাসক সৌমেন পাল।

অন্য বিষয়গুলি:

Ajay Sand illegal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy