বোরো চাষে ক্ষতিপূরণ নিয়ে ফের দুর্নীতির অভিযোগ উঠল বর্ধমান ২-এর একটি তৃণমূল পরিচালিত বৈকন্ঠপুর ২ পঞ্চায়েতের ভারপ্রাপ্ত সভানেত্রী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে। শুক্রবার বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চেয়ে পঞ্চায়েতে স্মারকলিপি দেয় সিপিএম। জেলা প্রশাসন জানায়, কৃষি দফতরকে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০জনের সই সম্বলিত একটি চিঠি জমা পড়ে। শঙ্কর মুদি, সন্তোষ বাউরি, মোজ্জাম্মেল শা, অমর সেনদের সই করা ওই চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে, ওই পঞ্চায়েতে প্রকৃত চাষিরা ঠিক ক্ষতিপূরণ পাননি। ওই পঞ্চায়েতের ভারপ্রাপ্ত সভানেত্রী জবা মালিকের সর্বমোট জমির পরিমাণ সাত বিঘা। অথচ ভাশুর, দেওর, ভাইপো, দাদা, ভাই— সকলের মোট জমি ৬০ বিঘার হিসেবে ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন জবা ও তাঁর পরিবারের সদস্যেরা। অভিযোগকারীদের দাবি, শুধু পঞ্চায়েত বা ব্লক নয়, টাকা নয়ছয়ে যুক্ত কৃষি দফতরের কর্মীরাও।
সিপিএমের দাবি, স্মারকলিপি দেওয়ার সময়ে তাঁদের কাছে জবাদেবী দুর্নীতির কথা মেনে নেন। তদন্তের আশ্বাস দেন পাশেই বসে থাকা পঞ্চায়েত সদস্য গোপাল বিশ্বাস। সিপিএম নেতা কল্যাণ হাজরার প্রশ্ন, “প্রধানই তো দুর্নীতিতে যুক্ত। উনি আবার কী তদন্ত করবেন? আমরা মহকুমাশাসক ও জেলাশাসকের কাছেও স্মারকলিপি দেব।” বর্ধমান উত্তরের বিধায়ক নিশীথ মালিকও ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘প্রধান ও তার পরিবারের লোকেরাই এই দুর্নীতিতে যুক্ত বলে জানি। কিন্তু শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা তো আমার নেই। ব্লক সভাপতিই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’’
কিন্তু দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি শ্যামল দত্ত। তাঁর কথায়, ‘‘বৈকুণ্ঠপুর সবথেকে কম ক্ষতিপূরণ পেয়েছে। কৃষি দফতর নিয়ম মেনেই ক্ষতিপূরণ দিয়েছে।’’
এর আগে, হাটগোবিন্দপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে নিয়মের ‘ব্যতিক্রম’ ঘটিয়ে পঞ্চায়েতের উপপ্রধান-সহ তৃণমূল নেতারা নিজেদের ও স্ত্রীদের নামে ক্ষতিপূরণের টাকা তুলেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। অথচ নিয়ম অনুযায়ী দম্পতির মধ্যে এক জনই মাত্র ক্ষতিপূরণের টাকা পাবেন।
পরপর এমন দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসায় আসলে তাঁরাই বঞ্চিত হচ্ছেন বলে দাবি ‘প্রকৃত’ চাষিদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy