বর্ধমান পৌরসভা। — ফাইল চিত্র।
তোলাবাজি করার অভিযোগ উঠেছে বর্ধমান পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নূরুল আলমের (সাহেব) বিরুদ্ধে। বর্ধমানের সাধনপুরের বাসিন্দা আয়ুব খান গত মঙ্গলবার বর্ধমান থানায় ওই কাউন্সিলর-সহ চার জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন। পুলিশ ‘জেনারেল ডায়েরি’ করে তদন্ত শুরু করেছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত কাউন্সিলর। তিনি জানিয়েছেন, সাত দিনের মধ্যে নিঃস্বার্থ ভাবে ক্ষমা না চাইলে মানহানির মামলা করা হবে বলে আইনি নোটিস দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগে আয়ুব খান দাবি করেছেন, সোমবার বেলা ১১টা নাগাদ কাউন্সিলর-সহ চার জন বাজেপ্রতাপপুরে রেল উড়ালপুলের নীচে মসজিদের কাছে তাঁর ভ্রাম্যমান মাংসের দোকানে হামলা চালান। অভিযোগ, ওই জায়গায় ব্যবসা করতে গেলে ২৫ হাজার টাকা দিতে হবে বলে দাবি করেন তাঁরা। গত ২৮ জানুয়ারিও তাঁর কাছ থেকে টাকা দাবি করা হয়েছিল এবং ধাক্কা মেরে ফেলা দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘আমার বাড়িতে প্রতিবন্ধী সন্তান আছে। আমি অসুস্থ। কোনও রকমে সৎ পথে জীবিকা নির্বাহ করি। কিন্তু ওই সব লোকেরা তোলাবাজি করছে। টাকা না পেলে মারধর, জিনিসপত্র ফেলে দিয়ে লোকসান করতে থাকছে। আমি আতঙ্কে রয়েছি’।
কাউন্সিলর অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর ঘনিষ্ঠদের দাবি, একটি স্কুলের সামনে ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে করে মাংস বিক্রি করা হয়। প্রকাশ্যে কেটে মাংস বিক্রি করা, রক্ত দেখে এক ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। তাকে বর্ধমান মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়। অভিভাবকেরা প্রকাশ্যে মাংস না কাটার অনুরোধ করেছিলেন। কাউন্সিলরের দাবি, ‘‘অভিভাবকেরা প্রকাশ্যে মাংস কাটার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন। পরিকল্পনা মাফিক আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। আইনি নোটিস পাঠিয়ে প্রকাশ্যে সাত দিনের মধ্যে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে। না হলে মানহানির মামলা করা হবে।’’ দলের জেলার মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘‘দলে অন্যায়ের প্রশ্রয় নেই। অভিযোগ হয়েছে। কাউন্সিলর অভিযোগ মানতে চাননি। পুলিশ তদন্ত করে কে ঠিক বলছেন, সেটা খুঁজে বার করুক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy