—প্রতীকী চিত্র।
লোকসভা নির্বাচনে যে সমস্ত ওয়ার্ডে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে, সেখানে পুর পরিষেবা মিলছে না বলে অভিযোগ তুললেন গুসকরা বিজেপির নগর মণ্ডল কমিটির সভাপতি পতিতপাবন হালদার। শুক্রবার আউশগ্রাম বিধানসভা এলাকায় লোকসভা ভোটের পর্যালোচনা করতে গুসকরার একটি অনুষ্ঠান ভবনে বৈঠক করে বিজেপি। সেখানেই এই অভিযোগ ওঠে বলে জানা গিয়েছে।
এ দিন উপস্থিত ছিলেন, বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী পিয়া সাহা, বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলা ইনচার্জ সন্দীপ নন্দী এবং এলাকার ছ’টি মণ্ডল কমিটির কার্যকর্তারা। জানা গিয়েছে, পতিতপাবনের অভিযোগ, গুসকরা পুরসভার ৭টি ওয়ার্ডে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। তবে পুরসভা তৃণমূলের কবলে থাকায় ওই ওয়ার্ডে নিকাশি, পানীয় জল, পথবাতির মতো পরিষেবা ঠিক মতো মিলছে না। এমন কী কিছু ক্ষেত্রে আবাসন প্রকল্পের কাজও বন্ধ করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ।
সন্দীপ জানান, এ ব্যাপারে আগামী দিনে পুরসভায় স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য গুসকরা মণ্ডল কমিটির কার্যকর্তাদের বলা হয়েছে। যাঁরা বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন, তাঁদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সে ব্যাপারেও নজর দিতে বলা হয়েছে বৈঠকে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে গুসকরার পুরপ্রধান কুশল মুখোপাধ্যায় বলেন, “এ ধরণের কোনও অভিযোগ আমার জানা নেই। এ ধরণের রাজনীতি তৃণমূল করে না। বিজেপি মিথ্যা অভিযোগ করছে।”
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈঠকে তিন জন মণ্ডল সভাপতির বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন মণ্ডল কমিটির কার্যকর্তাদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, ওই সভাপতিরা কার্যকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে সাংগঠনিক কাজ করেননি। তার প্রভাব পড়েছে ভোটের ফলে। প্রচারের খরচ এবং প্রার্থীর বিরুদ্ধেও ‘ডোর টু ডোর’ প্রচার না করার অভিযোগও উঠেছে বলে জানা যায়। যদিও পিয়া দাবি করেছেন, অনেক জায়গাতেই হাতে গোনা কর্মী নিয়ে প্রচার সারতে হয়েছে তাঁকে।
সন্দীপ বলেন, “প্রত্যেক নির্বাচনেই জয় পরাজয় আছে। কী কারণে পরাজয়, এ দিন তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের মধ্যে সংগঠনকে শক্তিশালী করে তোলার জন্য কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy