Advertisement
২১ ডিসেম্বর ২০২৪
TMC

‘রাবণ-রাজ’ শুরু, তোপ অমর রামের

পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় শুক্রবার তৃণমূলের অমর রাম এবং রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের শিবিরের ‘বিরোধ’ জানাজানি হতে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধীরা। 

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাটোয়া শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০২:১২
Share: Save:

‘দ্বন্দ্ব’ ছিল, এ বার কার্যত ‘রাম-রাবণের যুদ্ধ’ বাধল। তবে প্রতিপক্ষ সমুদ্রের দু’পাড়ের নন, বরং একই দল, তৃণমূলের। এক পক্ষ নাম করে তোপ দাগলেন। অন্য পক্ষ বিভেদের কথা প্রকাশ্যে মানেননি। কিন্তু পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় শুক্রবার তৃণমূলের অমর রাম এবং রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের শিবিরের ওই ‘বিরোধ’ জানাজানি হতে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধীরা।

জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা কাটোয়া শহরের নেতা অমর রাম এ দিন সংবাদিক বৈঠক করে অভিযোগ করেন, তিনি শহর সভাপতির পদ হারানোর পরে, কাটোয়ার বিধায়ক তথা পুরপ্রশাসক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের অনুগামীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে ইঙ্গিত করে নানা অপমানজনক পোস্ট করছেন লাগাতার। ‘রাম রাজত্বের’ অবসান হয়েছে, রটানো হচ্ছে। এর পরেই তিনি সরাসরি বিধায়কের নাম ধরে দাবি করেন, ‘‘রাম রাজত্বের অবসানের পরে, রাবণ রাজত্ব শুরু হয়েছে।’’ যদিও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ রবীন্দ্রনাথবাবু। তাঁর দাবি, ‘‘রাম রাজত্বের অবসান মানে বিজেপিকে বোঝানো হয়েছে। কেউ কথা গায়ে মাখলে কী করা যায়!’’

মাধবীতলায় দলের অস্থায়ী কার্যালয়ে এ দিন অমরবাবুর সঙ্গে ছিলেন বিদায়ী কাউন্সিলর ভাস্কর মণ্ডল, শ্যামল ঠাকুর ও প্রণব দত্ত। অমরবাবু বলেন, ‘‘দল ভাল বুঝেছে বলেই গত ১৫ সেপ্টেম্বর আমাকে শহর সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে আরও বড় দায়িত্ব দিয়েছে। ১৬ সেপ্টেম্বর আমার সম্মান নষ্ট করে শহর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি ও পুরকর্মী সুজয় দে সামাজিক মাধ্যমে চক্রান্ত করে ছড়িয়ে দিয়েছেন, যে রাম- রাজত্বের অবসান হল। ওই পোস্টে রবিবাবুর অনুগামীরা অসম্মানজনক মন্তব্যও করেছেন। এ সব করে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে সামনে আনা হচ্ছে। বিহিত চেয়ে নেতৃত্বকে জানিয়েছি।’’

যদিও অভিযুক্ত নেতার দাবি, “প্রতিটি ক্ষেত্রেই রাজনীতিগত ভাবে বিজেপির অপপ্রচার রুখতে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করা হয়েছে। অমরবাবু কেন গায়ে মাখলেন তা বুঝতে পারছি না।’’ বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “রাবণ উজ্জ্বল পুরুষ ছিলেন।’’ তাঁর দাবি, ‘‘রাম রাজত্বের অবসান বলতে বিজেপিকে বোঝানো হতে পারে। কেউ যদি গায়ে মেখে নেন, তা হলে কিছু করার নেই। তবুও কর্মীদের জিজ্ঞসা করব।’’ তাঁর সংযোজন: ‘‘আমাদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই।’’

বিজেপির জেলা সভাপতি (কাটোয়া) কৃষ্ণ ঘোষ বলেন, ‘‘নিজেদের কাদা ছোড়াছুড়ি ঢাকতে বিজেপিকে জড়ানো অনর্থক।’’

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Katwa
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy