কুলটি কলেজে। নিজস্ব চিত্র
কলেজ চত্বরে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিলেন পশ্চিম বর্ধমানের কুলটি কলেজ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সেখানে বিরোধীরা কেন রক্ত দিতে এসেছেন, কেন আমন্ত্রণ জানানো হয়নি তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়কে, এমন প্রশ্ন তোলেন ‘কয়েক জন’। শুরু হয় অশান্তি, মারামারি। তা থামাতে গেলে, ‘হেনস্থা’-ও করা হয় কর্তৃপক্ষকে।— মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের একাংশের কাছে এমনই অভিযোগ করেছেন কর্তৃপক্ষ। যদিও, রাত পর্যন্ত পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ দিকে, এসএফআই-এর অভিযোগ, টিএমসিপি হামলা চালিয়েছে। অভিযোগ মানেনি টিএমসিপি।
কলেজের অধ্যক্ষ সুপ্রিয় চক্রবর্তী জানান, কলেজের উদ্যোগে শিবিরটি আয়োজিত হয়। দুপুর ১টায় ঝামেলা বাধে। তাঁর অভিযোগ, “কয়েক জন গলা উঁচিয়ে বলেন, তাঁদের নেতা উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি কেন। অনেকে এ-ও দাবি করেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলের লোকজন রক্ত দিতে এসেছেন।” তাঁর সংযোজন: “বিক্ষোভের জেরে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। অল্পবিস্তর মারামারিও হয়েছে। আমি ও কয়েক জন শিক্ষাকর্মী মারামারি আটকাতে গেলে আমরাও হেনস্থার শিকার হই।” তবে, ওই ‘কয়েক জন’ কারা, কাদের সঙ্গে ওই কয়েক জনের মারামারি হচ্ছিল, কারা কলেজ কর্তৃপক্ষকে ‘হেনস্থা’ করলেন, তা ভাঙতে চাননি অধ্যক্ষ। কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে চলে এই ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ কুলটি থানায় খবর পাঠান। পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ দিকে, এসএফআই নেতা অনিকেত মণ্ডলের দাবি, তাঁদের কয়েক জন রক্ত দেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সে সময় টিএমসিপি-র এক দল ‘বহিরাগত’ হামলা চালান। অনিকেতের অভিযোগ, “লাইনে থাকা আমাদের কয়েক জনকে মারা হয়েছে।” যদিও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কুলটি ব্লক সভাপতি মহম্মদ সইফের দাবি, “সম্পূর্ণ বাজে কথা।” তবে তাঁর সংযোজন: “আমাদের নেতা উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়কে রক্তদান শিবিরে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আমরা শুধু এরই প্রতিবাদ করেছি।” পাশাপাশি, টিএমসিপি পরিচালিত কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক সৌরভ ঘোষালের দাবি, “ছাত্র সংসদকে না জানিয়ে কলেজে রক্তদান শিবির হচ্ছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলের লোকজন এসেছেন। কেন এমন বৈষম্য, সেটাই জানতে চাওয়া হয়। কোনও অশান্তি হয়নি।” এসএফআই ‘দোষীদের’ শাস্তির দাবিতে কুলটি থানায় বিক্ষোভও দেখায়।
অধ্যক্ষ সুপ্রিয় অবশ্য উজ্জ্বলকে আমন্ত্রণ না জানানোর বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, “এটা আমার ভুল। আমি তাঁর কাছে ভুল স্বীকার করেছি। মন্ত্রী মলয় ঘটককে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। সামান্য ভুল বোঝাবুঝি থেকেই এ দিনের ঘটনা।” তাঁর সংযোজন: রক্তদান একটি মহান উদ্যোগ। এখানে যে কেউ আসতেই পারেন। তবে উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “খুবই নিন্দনীয় ঘটনা। কলেজ কর্তৃপক্ষ কাকে আমন্ত্রণ জানাবেন, সেটা তাঁদের বিষয়। তা ছাড়া, আমি কলেজের কোন পদে রয়েছি যে, আমাকে আমন্ত্রণ জানাতেই হবে?”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy