দুর্ঘটনার পরে পথ নিরাপত্তার দাবিতে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ। বুধবার পুরসায়। ছবি: কাজল মির্জা
রাস্তা জুড়ে ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ প্রচারে প্ল্যাকার্ড-ফেস্টুন-হোর্ডিং দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে জুড়ে। তবু দুর্ঘটনায় রাশ নেই। বুধবার সকালে গলসির পুরসা হাসপাতাল মোড়ের কাছে ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হল কর্তব্যরত এক সিভিক ভলান্টিয়ারের। প্রতিবাদে প্রায় আধ ঘণ্টা এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ বর্ধমানের দিক থেকে একটি ট্রাক দুর্গাপুরের দিকে যাচ্ছিল। পুরসা হাসপাতাল মোড়ের কাছে, একটি যাত্রী বোঝাই বাস সেটির সামনে ছিল। মোড়েই রাস্তার পাশে দু’টি ট্রাক লেন পরিবর্তন করার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সেগুলিকে ওভারটেক করার সময়ে বাসটির গতি কমে যায়। তখনই পিছন থেকে আসা ট্রাকটি বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে এড়াতে গিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সিভিক ভলান্টিয়ার মান্তু দাঁকে (৩০) পিষে দেয়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, এ দিন দুর্ঘটনার পরে, উল্টো লেন ধরে ট্রাক নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে চালক। পুরসার মাঝেরপুলের কাছে দুর্গাপুরের দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে সেটির ধাক্কা লাগে। আশপাশের লোকজন চালককে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন। আটক করা হয় ট্রাকটিও। এর পরেই হাসপাতাল মোড়ে অবরোধ শুরু হয়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই মোড়ে লেন পরিবর্তনের সময় বারবার দুর্ঘটনা ঘটে। সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দিয়ে অবরোধ তোলে পুলিশ। ব্যারিকেড করে লেন পরিবর্তনের জায়গা বন্ধ করা হয়।
এ দিন সকালে মান্তুর সঙ্গে রাস্তায় দাঁড়িয়ে যান নিয়ন্ত্রণ করছিলেন মিঠুন বাগদি ও সুমন দাস। তাঁরা বলেন, ‘‘রাস্তার কাটিং-এর (লেন পরিবর্তনের জায়গা) মাঝে সবাই কাছাকাছি দাঁড়িয়ে কাজ করছিলাম। কিছু বোঝার আগেই দ্রুত গতিতে আসা ট্রাকটা মান্তুকে পিষে দিল!’’ পুরসার বাসিন্দা শেখ গুলজার, শেখ লালনদের বক্তব্য, “বাসে ধাক্কা এড়াতে গিয়ে ট্রাকটি ওই ভলান্টিয়ারকে ধাক্কা দেয়। বাসে ধাক্কা দিলে বড় দুর্ঘটনা ঘটত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy