দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি। নিজস্ব চিত্র
জাতীয় সড়কে আচমকা দাঁড়িয়ে পড়েছিল একটি ট্রাক। গাড়ি সেটির পিছনে ধাক্কা মারায় মৃত্যু হল মা ও ছেলের। মঙ্গলবার সকালে পূর্ব বর্ধমানের বুদবুদে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে এই দুর্ঘটনায় আহত হন গাড়ির আরও দুই যাত্রী। পুলিশ জানায়, মৃত কৃষ্ণা ঘোষ (৬৫) ও রণবীর ঘোষ (৪০) রাজারহাটের বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে একটি গাড়িতে করে কলকাতা থেকে দুর্গাপুরের দিকে যাচ্ছিলেন কৃষ্ণাদেবী ও তাঁর ছেলে রণবীর। সঙ্গে ছিলেন সুমন্ত সরকার ও প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী নামে আরও দু’জন। প্রসেনজিৎ গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তাঁর পাশে বসেছিলেন সুমন্তবাবু। মা-ছেলে ছিলেন পিছনের আসনে।
সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ বুদবুদের সাধুনগরের কাছে জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গাড়িটির ঠিক সামনে থাকা একটি ট্রাক আচমকা ব্রেক কষে মাঝ রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়ে। গাড়িটি ওই ট্রাকের পিছনে জোরে ধাক্কা মারে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, হঠাৎ ট্রাকটি দাঁড়িয়ে পড়ার পরে গতি সামাল দিতে পারেননি গাড়ির চালক। দুর্ঘটনার বিকট শব্দ শুনে আশপাশের লোকজন দৌড়ে যান। এরই মধ্যে ট্রাকটি পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে পৌঁছয় বুদবুদ থানার পুলিশ। দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া গাড়ি থেকে চার জনকে উদ্ধার করে রাজবাঁধের একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে কৃষ্ণাদেবী ও রণবীরের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকেরা। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সুমন্তবাবুর চোট গুরুতর। তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। প্রসেনজিৎবাবুকে আইসিইউ-তে রাখা হয়েছে। গাড়িটি বুদবুদ থানায় নিয়ে গিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছরখানেক আগে রণবীরের হৃদযন্ত্রের অস্ত্রোপচার হয় দুর্গাপুরের বিধাননগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। এ দিন রণবীরকে সেখানেই চিকিৎসকের কাছে দেখাতে যাচ্ছিলেন কৃষ্ণাদেবীরা। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দুপুরে কলকাতা থেকে তাঁদের আত্মীয়েরা হাসপাতালে পৌঁছন। তাঁরা জানান, কয়েক মাস আগে রণবীরের বাবার মৃত্যু হয়েছে। রাজারহাটের বাড়িতে মা-ছেলে থাকতেন। সুমন্তবাবু তাঁদের ব্যবসা দেখাশোনা করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy