পুরনো বাজারে দোকানের টিনের ছাউনি ফুটো হয়ে গিয়েছে। রোদ-বৃষ্টি থেকে বাঁচতে তা ঢাকা হয়েছে পলিথিন দিয়ে। পরপর গা ঘেঁষে থাকা দোকানে ঠাসা দাহ্যবস্তু। কিন্তু অগ্নি নির্বাপণের কোনও বন্দোবস্ত নেই। ভবনের মধ্যে বাজার কমপ্লেক্সেও বিপদের আশঙ্কা কম নয়। বছরের পর বছর ধরে বিদ্যুতের নানা তার পাক খেয়ে তৈরি হয়েছে জটিল অবস্থা। কোনও ভাবে শর্ট সার্কিট হলে বড় দুর্ঘটনা ঘটা সময়ের অপেক্ষা, অভিযোগ ক্রেতা-বিক্রেতা সকলেরই। বর্ধমান, কাটোয়া ও কালনার বড় বাজারগুলিতে পরিস্থিতি এই রকমই।
বর্ধমানের প্রাণকেন্দ্র কার্জন গেটের পাশেই রয়েছে দত্ত সেন্টার। কাপড় থেকে শুরু করে প্রসাধন সামগ্রীর দোকান, এমনকি ব্যাঙ্কও রয়েছে এই বাজারে। কিন্তু বড় কয়েকটি বিপণি ছাড়া কোনও দোকানই অগ্নি নির্বাপণের ব্যবস্থা রাখেনি। দমকল শেষ কবে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে গিয়েছে, মনে করতে পারেন না ব্যবসায়ীরা।
কালনার চকবাজার এতটাই ঘিঞ্জি যে হাঁটাচলাও মুশকিল হয়ে ওঠে। দমকলের কর্মীরা কখনও-সখনও এলেও কিছু পরামর্শ দিয়েই দায় সারেন বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। তবে জেলা নিয়ন্ত্রিত বাজার কমিটির ইঞ্জিনিয়ার দিব্যেন্দু রায় অবশ্য বলেন, ‘‘নতুন বাজার তৈরি হচ্ছে। সেখানে চওড়া রাস্তা থাকবে।’’
কাটোয়ায় বড়বাজার নিউ মার্কেটে প্রতিদিন কয়েক হাজার ক্রেতার ভিড় হয়। মেরামতির অভাবে বাজার ভবনের দেওয়ালে ফাটল ধরেছে। অগ্নি নির্বাপণের কোনও ব্যবস্থা নেই, জানান ব্যবসায়ী সুরজ শেখ, কিশোর দাসেরা। দমকলের অবশ্য আশ্বাস, বাজারগুলিতে গিয়ে মহড়া দেওয়া হবে। আগুন লাগলে কী ভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে, তা শেখানো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy