প্রতীকী ছবি।
নির্দিষ্ট সময়ে ফল বেরোয় না বলে বারবার অভিযোগ ওঠে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। এ বার সেই বিশ্ববিদ্যালয়ই পরীক্ষা শেষ হওয়ার তিন সপ্তাহের মধ্যে স্নাতক স্তরের ষষ্ঠ সিমেস্টারের ফল প্রকাশ করে দিল। ষষ্ঠ সিমেস্টারে রেকর্ড সংখ্যায় পড়ুয়া উত্তীর্ণ হয়েছেন বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে। বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের দাবি, অতিমারির সময়ে রাজ্য সরকার এবং ইউজিসি ফল প্রকাশের সময় বেঁধে দিয়েছিল। তার জেরেই খাতা দেখে নির্দিষ্ট সময়ের আগে, ২৯ অক্টোবর রাতে ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশ করেছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। সে দিনই পুরনো সিলেবাসের পার্ট ৩-এরও ফলপ্রকাশ হয়েছে। তবে স্নাতক স্তরের দ্বিতীয় ও চতুর্থ সিমেস্টারের পরীক্ষা কবে হবে, সে নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিমাই সাহা বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই স্নাতক স্তরের ষষ্ঠ সিমেস্টারের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পুজোর আগে পঞ্চম সিমেস্টারেরও ফল প্রকাশ হয়েছিল। বাকি দু’টি সিমেস্টারের পরীক্ষাও দ্রুত নেওয়া হবে।’’ বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, পঞ্চম সিমেস্টারের ফল প্রকাশে দেরি হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এগজিকিউটিভ কাউন্সিল (ইসি) সব পড়ুয়াকেই ষষ্ঠ সিমেস্টারের পরীক্ষার সুযোগ করে দিয়েছিল। তবে কোনও পরীক্ষার্থী পঞ্চম সিমেস্টারের পরীক্ষায় পাশ করতে না পারলে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, অতিমারির সময়ে ষষ্ঠ সিমেস্টারের পরীক্ষা অনলাইনে নেওয়া হয়েছিল। যে সব পড়ুয়া অনলাইন-পরীক্ষার সুবিধা নিতে পারেননি, তাঁরা কলেজের ই-মেল থেকে প্রশ্নপত্রের প্রিন্ট নিয়ে অফলাইনে পরীক্ষা দিয়েছেন। তার পরে সেই খাতা সংশ্লিষ্ট কলেজে আধ ঘন্টার মধ্যে জমা দিতে হয়েছে।
পরীক্ষা নিয়ামক দফতর সূত্রে জানা যায়, বিএসসি (অনার্স)-এর জন্য ২,৭১৬ জন পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তার মধ্যে ২,৭১১ জন পাশ করেছেন (৯৯.৮১%)। বিএসসি (সাধারণ)-তে ৭৮৩ জনের মধ্যে ৭৮২ জনই উত্তীর্ণ হয়েছেন। বিএ (অনার্স)-তে ১১,৫৮৭ জনের মধ্যে ১১,৫৪৪ জন পাশ করেছেন (৯৯.৬২%)। বিএ (সাধারণ) পড়ুয়া ছিলেন ১২,১৮৮ জন, পাশ করেছেন ১১,৮৯২ জন (৯৭.৫৭%)। কমার্সেও অনার্সে ৯৯.১৯% ও সাধারণে ৯৭.৭০% পাশ করেছেন। তিনটি বিভাগ মিলিয়ে বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থীর ফল অসম্পূর্ণ রয়েছে।
বীরভূমের বেশ কয়েকটি কলেজের কয়েকজন পরীক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে ই-মেল করে জানিয়েছেন, তাঁরা পঞ্চম সিমেস্টারে উত্তীর্ণ হতে পারেনি। রাজ্যের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় অতিমারির সময়ে ফের পরীক্ষায় বসার সুযোগ দিচ্ছে। তবে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় পত্রপাঠ তা খারিজ করে দিয়েছে। উপাচার্যের বক্তব্য, ‘‘যাঁদের পুনর্মূল্যায়ণ করার সুযোগ রয়েছে, তাঁরা সেই সুযোগ পাবেন। অনুত্তীর্ণদের জন্য ভাবনার কোনও জায়গা নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy