—ফাইল চিত্র।
কয়লা কারবারি রাজু ঝা খুনের মামলায় বিহারের বৈশালির কুখ্যাত দুষ্কৃতী কুন্দন সিংহকে গ্রেফতার করার আবেদন মঞ্জুর করল বর্ধমান আদালত। বুধবার কঠোর নিরাপত্তায় বর্ধমান সংশোধনাগার থেকে কুন্দনকে আদালতে পেশ করা হয়। রাজু খুনের মামলার বিচার চলছে বর্ধমানের পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে। সেখানে কুন্দনকে গ্রেফতার দেখানোর জন্য আবেদন জানান সিটের তদন্তকারী অফিসার। সেই আবেদন মঞ্জুর করেন পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক দেবশ্রী হালদার। ধৃতের টিআই প্যারেড করানোর জন্য আবেদন জানান তদন্তকারী অফিসার। সেই আবেদনের শুনানি সিজেএম আদালতে হবে বলে নির্দেশ দেন দায়রা আদালতের বিচারক। মামলার বিচার দায়রা আদালতে যথারীতি চলবে। তবে, কুন্দন সংক্রান্ত যাবতীয় আবেদনের শুনানি চার্জশিট না হওয়া পর্যন্ত সিজেএম আদালতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন দায়রা আদালতের বিচারক। তদন্তকারী অফিসারের টিআই প্যারেড সংক্রান্ত আবেদন সিজেএম আদালতে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবারই দ্বিতীয় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে বর্ধমান সংশোধনাগারে টিআই প্যারেড করানো হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন সিজেএম। ধৃতকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে ১ ডিসেম্বর ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় ধৃত বাকি পাঁচ জনের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন দায়রা বিচারক।
গত ১ এপ্রিল রাতে শক্তিগড়ে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে ল্যাংচার দোকানের সামনে খুন করা হয় রাজুকে। তাঁর সঙ্গে গাড়িতে ছিলেন ব্রতীন মুখোপাধ্যায় ও আব্দুল লতিফ। একটি নীল রংয়ের গাড়িতে চেপে এসে তিন দুষ্কৃতী খুব কাছ থেকে রাজুকে গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। গুলিতে জখম হন ব্রতীনও। তদন্তে নেমে পুলিশ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে। তাঁদের নামে চার্জশিট পেশ হয়েছে আদালতে। ধৃতেরা জামিনের আবেদন করলে জেলা ও দায়রা বিচারক তা খারিজ করে দেন। মামলাটি কাস্টডি ট্রায়ালের উপযুক্ত বলে নির্দেশ দেন জেলা জজ। সেই মতো মামলাটি বিচারের জন্য পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে পাঠানো হয়। এরই মধ্যে কয়েক মাস আগে নদিয়ার রানাঘাটে একটি অলঙ্কারের শোরুমে ডাকাতির সময় কুন্দন-সহ কয়েক জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে রাজু খুনে কুন্দনের জড়িত থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হন তদন্তকারীরা। সিট কুন্দনকে নদিয়ায় গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে রাজু খুনে কুন্দনের জড়িত থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হন সিটের তদন্তকারীরা। পুলিশের দাবি, কুন্দন রাজু খুনের মূল চক্রী। তাঁর বিরুদ্ধে আসানসোল, বিহার, ঝাড়খণ্ড ও ছত্তীসগঢ়ে সুপারি কিলারদের নিয়ে সিন্ডিকেট চালানোর অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় ডাকাতি ও নানা অপরাধমূলক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে কুন্দনের বিরুদ্ধে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy