ব্রাত্য বসু। —ফাইল চিত্র।
‘সারদা’র পরে এ বার ‘চৈতন্যদেব’। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে চৈতন্যদেবের তুলনা করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রীর এই মন্তব্যের পর বিতর্ক শুরু হয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে।
জলাশয় এবং চুনোমাছ বাঁচানোর লক্ষ্যে বিগত ২৩ বছর ধরে পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে ‘খাল-বিল-চুনোমাছ’ উৎসবের আয়োজন করে আসছেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। মঙ্গলবার সেই উৎসবের দ্বিতীয় দিনে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাত্য। ওই অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করতে গিয়ে ব্রাত্য বলেন, “চৈতন্যদেব সর্বধর্ম সমন্বয়ের কথা বলেছিলেন। সবাইকে সঙ্গে রাখার কথা বলেছিলেন। মমতাদি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলেন। তিনি কোনও বিভাজন বা ভেদাভেদের রাজনীতি করেন না। চৈতন্যদেবও করেননি। চৈতন্যের সার্থক উত্তরাধিকারী এই বাংলায় যদি কেউ থেকে থাকেন, তিনি হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” তিনি আরও বলেন, “প্রকৃতি এবং প্রাণীসম্পদকে রক্ষা করার ব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই উদ্যোগী।” এর পর তিনি লোকসভা ভোট প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জানান, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল ৩৫ থেকে ৪০টি আসনে জয়লাভ করবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতার সঙ্গে সারদার তুলনা টানা হয়েছিল। “মা সারদাই মমতা,”—বলেছিলেন উলুবেড়িয়ার তৃণমূল বিধায়ক তথা চিকিৎসক নির্মল মাজি। একটি সভায় নির্মল দাবি করেছিলেন, সারদা নাকি কোনও এক সময়ে বলে গিয়েছিলেন কালীঘাটে জন্ম নিয়ে তিনি রাজনীতি করবেন। তাঁর এই মন্তব্যের পরেই সাড়া পড়ে গিয়েছিল রাজনৈতিক মহলে।
এ বার শিক্ষামন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরেই কটাক্ষ এসেছে বিজেপি শিবির থেকে। বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, “এত যদি মহামানব তৃণমূল নেতারা, তা হলে সবাই জেলে কেন?” কংগ্রেস নেতা গৌরব সমাদ্দারও বলেন, “সারদা, চৈতন্য— এর পর আরও কত কী বলবেন তৃণমূল নেতারা এখন সেটাই দেখার। আসলে মুখ্যমন্ত্রীকে তোয়াজ না করলে পদ এবং মন্ত্রিত্ব কোনওটাই থাকবে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy