রক্তদান। আসানসোলের মহিশীলায়। নিজস্ব চিত্র
করোনা-পরিস্থতিতে একের পরে এক রক্তদান শিবির বাতিল হওয়ায় ব্লাডব্যাঙ্ক রক্তশূন্য হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জেলার নানা প্রান্তের ডাক্তারেরা। এই অবস্থায় শুক্রবার রক্তদানে এগিয়ে এলেন পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল, দুর্গাপুরের কয়েকজন বাসিন্দা।
সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, আসানসোল ও দুর্গাপুর মহকুমায় চলতি মাসে যথাক্রমে ১৪টি ও সাতটি রক্তদান শিবির বাতিল হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ছোট আকারে রক্তদান শিবির আয়োজন ও ব্যক্তিগত উদ্যোগের আর্জি জানান আসানসোল জেলা হাসপাতালের সুপার নিখিলচন্দ্র দাস, জেলা হাসপাতালের ব্লাডব্যাঙ্কের চিকিৎসক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।
তার পরে এ দিন মহিশীলায় আয়োজিত হল পারিবারিক রক্তদান শিবির। জেলা ব্লাডব্যাঙ্কের চিকিৎসক ও কর্মীরা পরিবারের ১৪ জন পুরুষ ও তিন জন মহিলা সদস্যদের থেকে ও এবং বি পজ়িটিভ, এ এবং এবি পজ়িটিভ শ্রেণির রক্ত সংগ্রহ করা হয়। পরিবারটির সদস্য ভোলা রায়, মৌসুমি রায়েরা বলেন, ‘‘আমাদের বাড়ির সদস্যেরা শিবিরে গিয়ে আগেও রক্ত দিয়েছেন। কিন্তু এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ অন্য রকম। তাই পারিবারিক উদ্যোগে এই আয়োজন।’’
ব্লাডব্যাঙ্কের চিকিৎসক সঞ্জীববাবু বলেন, ‘‘সর্বত্র এমন ছোট-ছোট শিবির আয়োজন করা জরুরি। ওই পরিবারটির উদ্যোগ প্রশংসনীয়।’’ তিনি আরও জানান, ব্লাডব্যাঙ্কে এই সময়ে এ পজ়িটিভ, এবি পজ়িটিভ শ্রেণির রক্তের আকাল রয়েছে। কেউ এই দুই শ্রেণির রক্ত দিতে চাইলে তাঁরা তা দাতার বাড়ি গিয়েও সংগ্রহ করতে পারেন।
পাশাপাশি, ‘দুর্গাপুর মহকুমা ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স ফোরাম’ও ব্যক্তিগত ভাবে রক্তদানের আর্জি জানিয়েছে। শুক্রবার সকালে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে এ এবং এবি পজ়িটিভ রক্তের পরিমাণ ছিল শূন্য। নেগেটিভ শ্রেণির কোনও রক্তই নেই। এই পরিস্থিতিতে এ দিন দুর্গাপুরের বি-জ়োন ফাঁড়ির আইসি মনোরঞ্জন মণ্ডল, সিভিক ভলান্টিয়ার অসীম বিশ্বাস ও জনমেজয় সিংহকে সঙ্গে নিয়ে ব্লাডব্যাঙ্কে গিয়ে রক্তদান করেন। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ ভাবে আলাদা আলাদা করে দু’জন মহিলা-সহ মোট ২৩ জন রক্তদান করেন। শেষমেশ এ দিন ১৬ ইউনিট এ পজ়িটিভ, পাঁচ ইউনিট এবি পজ়িটিভ শ্রেণির রক্ত সংগৃহীত হয়।
এমন নানা উদ্যোগ প্রসঙ্গে ‘ফেডারেশন অফ ব্লাড ডোনার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর রাজ্য শাখার সম্পাদক কবি ঘোষ বলেন, ‘‘ব্যক্তিগত উদ্যোগে বা ছোট শিবির করে রক্ত সংগ্রহের কাজ বজায় রাখতে হবে। এ দিন যাঁরা এই কাজ করলেন, তাঁদের সবাইকে অভিনন্দন। এমনটা না হলে, সমস্যায় পড়বেন রোগীরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy