প্রতীকী ছবি।
ক্ষোভের তাপ দেখা দিল বিজেপির বর্ধমান সাংগঠনিক জেলায়। সম্প্রতি জেলা কমিটির পদাধিকারীদের নাম ঘোষণা করেন বিজেপির জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা। সে দিন অভিজিৎ সাংবাদিকদের কাছে তাঁকে ‘পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে’ বলে মন্তব্য করায় তিনি অপমানিত হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার ক্ষোভ উগরে দিলেন জেলা যুব মোর্চার সদ্য ‘প্রাক্তন’ সভাপতি শুভম নিয়োগী। সে কারণে পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে রাজ্য যুব মোর্চার দফতরে চিঠিও দেন শুভম। যদিও জেলা সভাপতির দাবি, “গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই। ও (শুভম) কোনও পদে নেই। সব মোর্চার (শাখা সংগঠন) কমিটিই ভেঙে দেওয়া হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি সেগুলি গঠন করা হবে।’’
বিজেপির বর্ধমান সাংগঠনিক জেলায় ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব’ অবশ্য নতুন নয়। বিধানসভা ভোটের আগে ‘দ্বন্দ্বে’র জেরে দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর, গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছিল। তদন্ত কমিটি গঠন করে সাত জনকে দল ‘শো-কজ়’ করে। জবাবে সন্তুষ্ট না হয়ে কয়েক জনকে শাস্তিও দিয়েছিল। ভোটের সময় অবশ্য সেই শাস্তি তুলে নেওয়া হয়।
ভোটের আগে সভাপতি পদে থাকা সন্দীপ নন্দীকে সরিয়ে অভিজিৎ তা-কে বসানো হয়। তখন থেকেই ফের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে ‘দ্বন্দ্ব’ শুরু হয়। কয়েক দিন আগে জেলা কমিটির পদাধিকারীদের নাম ঘোষণা হয়েছে। সেখানে পুরনো কমিটির ছ’জনকে ‘গুরুত্বহীন’ পদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু তা-ই নয়, সন্দীপের আমলে থাকা বিভিন্ন মোর্চার সভাপতিদেরও সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।
রাজ্য যুব মোর্চাকে দেওয়া চিঠিতে শুভম লিখেছেন, ‘রাজ্যে নতুন যুব মোর্চার সভাপতি হওয়ার পরেও, জেলার কার্যসূচি আমার কাছে পাঠানো হত। জেলার সভাপতি হিসেবে যুব মোর্চার ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দিই। হঠাৎ জানতে পারছি, বিজেপির জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা জানিয়েছেন, আমাকে পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু রাজ্য থেকে এমন নির্দেশ আমি পাইনি। সে জন্য আমি মঙ্গলবার থেকে দলের যুব মোর্চার দায়িত্ব থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলাম’।
সাংবাদিক সম্মেলন করে শুভম দাবি করেন, ‘‘২০ বছর বয়সে সংগঠনের সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছিলাম। দলের জেলা সভাপতি নতুন। তিনি সম্ভবত জানেন না। দল করতে গিয়ে জেল খেটেছি, ১৪টি মামলা রয়েছে। তার পরেও জেলা সভাপতির ওই মন্তব্যে আমি অপমানিত। ওঁকে সরাতে হবে না, আমিই নিজেকে সরিয়ে নিলাম।’’ এর পরেই তাঁর ক্ষোভ, “যে ভাবে পুরনোদের সরিয়ে নিজের ইচ্ছামতো জেলার পদাধিকারীদের বসিয়ে দিয়েছেন। পুরনোদের গুরুত্বহীন পদে বসানো হয়েছে। সে ভাবেই মোর্চার সভাপতি নিয়োগ করতে চাইছেন।’’
জেলা সভাপতি শুধু বলেন, “কেউ কেউ গুরুত্ব পেতে নানা রকম করে থাকেন। এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করছি না।’’ তবে তৃণমূলের যুব সংগঠনের নেতা নিত্যানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, “সব জায়গাতেই পদ নিয়ে বিজেপির অন্দরে গোলমাল। এটাই বিজেপির সংস্কৃতি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy