প্রচারে বিজেপি-র দিলীপ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র।
পুরভোটের দিন তো বটেই, গণনাকেন্দ্রেও তৃণমূল গোলমাল পাকাতে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করল বিজেপির বর্ধমান সদর সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্ব। মঙ্গলবার দুপুরে বড়নীলপুর থেকে কার্জন গেট পর্যন্ত সাংসদ তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে মিছিল হয়। মিছিলের শেষে সভা থেকে বিজেপির জেলা নেতৃত্ব ওই আশঙ্কার কথা প্রকাশ করে অভিযোগ তোলেন।
জেলা ডিওয়াইএফের একটি কর্মসূচিতে এ দিন এসে সংগঠনের রাজ্য সভানেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ও অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দাবি তোলেন। তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে দাবি করেছেন, মানুষ পাশে নেই বলে বিরোধীরা মিথ্যা অভিযোগ করছেন।
যদিও এ দিন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলির কর্মসূচিতে দূরত্ববিধি মানা দূরে থাক, অধিকাংশের মুখে মাস্ক পর্যন্ত ছিল না বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও রাজনৈতিক নেতৃত্বের দাবি, সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হয়েছে। তবে চিকিৎসকদের একাংশ মনে করিয়ে দিচ্ছেন, রাজ্যে কোভিড-বিধি চালু রয়েছে। নির্বাচন কমিশনও বিধি মানার কথা বলছে। এখনও জেলায় রোজই মানুষজন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এ অবস্থায় ভোটকে কেন্দ্র করে করোনা-বিধি ভাঙার ফল ভয়ানক হতে পারে। সেটা সব রাজনৈতিক দলেরই মাথায় রাখা উচিত।
এ দিন বেলা সাড়ে ৯টা নাগাদ বিজেপির বর্ধমান কার্যালয়ে আসেন দিলীপ। তিনি শোনেন, বর্ধমান পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৩ জনকে প্রার্থী করা গিয়েছে। তাঁদের সঙ্গে পরিচয় করেন। জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করে প্রার্থীদের ‘পাশে’ থাকার বার্তা দেন। তার পরে প্রার্থীদের নিয়ে বড়নীলপুর থেকে কার্জন গেট পর্যন্ত মিছিল করেন।
মিছিল শেষে দিলীপ অভিযোগ তোলেন ভোট হয়ে যাওয়া পুরসভাগুলিতে কী ভাবে ‘লুট’ হয়েছে। তাঁর দাবি, “বর্ধমানেও মনোনয়ন তোলার পরে, তা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছেন আমাদের প্রার্থী। মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে আটকানো হয়েছে। তারপরেও যাঁরা মনোনয়ন করেছেন, তাঁদের বাড়িতে চড়াও হচ্ছে। তার পরে যাঁরা প্রচারে বেরোচ্ছেন, তাঁদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।’’ বিজেপির বর্ধমান জেলা সাংগঠনিক সভাপতি অভিজিৎ তা অভিযোগ করেন, “বর্ধমান ও গুসকরাতে ভয় দেখিয়ে মনোনয়ন তুলে নিতে বাধ্য করা হয়েছে। তৃণমূল ভোট লুট করেই থেমে যাবে না, গণনার দিনও গোলমাল করবে। সে জন্যই গত দু’বারের পুরভোটের গণনাকেন্দ্র সরিয়ে ইউআইটিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’’
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, গণনাকেন্দ্র পাল্টানোর দাবিতে প্রার্থীরা এক জোট হয়ে জেলাশাসককে চিঠি দেবেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইউআইটিতে লোকসভা, বিধানসভার মতো নির্বাচনেও গণনাকেন্দ্র হয়। প্রশাসনিক সুবিধার জন্যই ইউআইটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
ডিওয়াইএফের জেলার কর্মসূচিতে এসে মীনাক্ষী অভিযোগ করেন, “আসানসোল-সহ রাজ্যের সব ক’টি পুর নির্বাচনে ভোট ‘লুট’ হয়েছে। কুলটি-জামুড়িয়াতে গুলি চলেছে। বর্ধমানের পুরসভাগুলিতেও অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করার দাবিতেই এই আন্দোলন।’’
দুপুরে বর্ধমানের ‘সংস্কৃতি’তে জেলার মহিলা প্রার্থীদের সভা করে তৃণমূল। সেখানে কলকাতা পুরসভার বোরো-চেয়ারম্যান তথা মহিলা তৃণমূলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক জুঁই বিশ্বাস বলেন, ‘‘এলাকার মানুষের কথা শুনতে হবে। বাড়ি-বাড়ি প্রচারে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কথা বলতে হবে।’’ ওই সভায় থাকা জেলা মহিলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভানেত্রী তথা বর্ধমান পুরসভার প্রার্থী শিখা দত্ত সেনগুপ্ত দাবি করেন, “বিরোধীরা মিথ্যা অভিযোগ করছেন। কিন্তু মানুষের পাশে তাঁরা থাকেন না। সে জন্য বার বার মানুষ তাঁদের প্রত্যাখ্যান করেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy