প্রতীকী ছবি।
লোকসভা ভোটে দলের কার্যালয়ে ‘ফের মোদী সরকার’ নামে একটি বাক্স রাখার ব্যবস্থা করেছিল বিজেপি। সেখানে নানা দাবি-দাওয়া জানানোর সুযোগ ছিল সাধারণ মানুষজনের। সেই দাবিগুলি সামনে রেখে কর্মসূচি সাজার ফল ভোটবাক্সে মিলেছিল, দাবি বিজেপির। তাই বিধানসভা ভোটের আগে ফের অভাব-অভিযোগ জানতে বাক্স রাখার পরিকল্পনা করেছে তারা। দল সূত্রে জানা গিয়েছে, জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে বর্ধমান, কাটোয়া, কালনা, মেমারি, গুসকরা ও দাঁইহাটের নানা গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ‘ড্রপ বক্স’ রাখার পরিকল্পনা হয়েছে। জেলা কার্যালয়েও ‘ড্রপ বক্স’ থাকবে। সেখানে আসন্ন বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হওয়ার আবেদনও জমা দেওয়া যাবে বলে বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সব ঠিক থাকলে কাল, মঙ্গলবার দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বর্ধমান সদর সাংগঠনিক জেলা কার্যালয়ের সামনে ‘ড্রপ বক্স’-এর উদ্বোধন করবেন। দলের জেলা সভাপতি (বর্ধমান সদর) সন্দীপ নন্দী ও জেলা সভাপতি (কাটোয়া) কৃষ্ণ ঘোষ বলেন, ‘‘সংগঠন ঢেলে সাজা হয়েছে। বিধানসভা ভোট নিয়ে প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে। বাড়ি-বাড়ি যাওয়ার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। অনেকে সরাসরি অভিযোগ জানাতে অস্বস্তিতে পড়তে পারেন। তাই বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’’ তাঁদের আরও দাবি, সংগঠনের বাইরেও প্রার্থী হওয়ার মতো অনেক উপযুক্ত মানুষজন রয়েছেন। তাঁরাও যাতে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ পান, সে জন্য জেলার সদর দফতরের সামনে ‘ড্রপ বক্স’ রাখা হবে। আবেদনগুলি রাজ্য স্তরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। উচ্চ নেতৃত্ব পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।
বিজেপি সূত্রে জানা যায়, রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে ১৫ জানুয়ারি থেকে প্রার্থী হিসেবে আবেদনের জন্য ‘ড্রপ বক্স’ চালু করা হবে। তবে মঙ্গলবার জেলায় আসার কথা দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। তাঁর হাত দিয়েও ‘ড্রপ বক্স’ চালু করা হতে পারে। লোকসভা ভোটের আগে জনসাধারণের মতামত জানার যে ‘মডেল’ ছিল, ফের তা সামনে রেখে বিধানসভা ভোটে জেলা জুড়ে ‘আপনার মতামত, আমাদের কর্তব্য’ নামে কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান বিজেপি নেতারা।
বিজেপি সূত্রে জানা যায়, আপাতত শহর এলাকায় ‘ড্রপ বক্স’ রাখা হবে। পরে গ্রামীণ এলাকাতেও তা রাখা থাকবে। বাক্সের পাশে থাকবে কাগজ-কলম। এলাকার সমস্যা, ক্ষোভ, অনুন্নয়ন নিয়ে বক্তব্য, চাহিদার কথা সেখানে জানাতে পারবেন নাগরিকেরা। প্রশাসনের ‘অনৈতিক’ কাজকর্ম, তৃণমূলের ‘দুর্নীতি’ নিয়েও লেখার আবেদন জানানো হবে। দলের নেতাদের আরও দাবি, বিধানসভা ভোটে দলের প্রার্থী হতে আবেদনকারীকে সক্রিয় রাজনীতি করতেই হবে, এমন বাধ্যবাধকতা নেই। যে কোনও পেশার মানুষ আবেদন করতে পারেন। দল কতটা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, তা এই বাক্সই প্রমাণ করে দেবে বলে দাবি বিজেপি নেতাদের।
জেলা তৃণমূলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক উত্তম সেনগুপ্তের কটাক্ষ, ‘‘এমন উদ্যোগের একটাই অর্থ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য বিজেপি প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না। তাই আবেদন চাইতে হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy