গৌরান্ডিতে বিজেপি নেতৃত্ব। নিজস্ব চিত্র
বিজেপি কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ ওঠার পরে বারাবনিতে পরিস্থিতি ঘুরে দেখলেন বাবুল সুপ্রিয়-সহ দলের নেতারা। রবিবার এলাকায় এসে ওই কার্যালয়ে যান তাঁরা। জড়ো হন দলের কয়েকশো কর্মী-সমর্থক। গোটা এলাকায় কড়া পুলিশি পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। নামানো হয় র্যাফও। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ তুলে বিজেপি নেতাদের হুঁশিয়ারি, হামলায় জড়িতদের ধরার দাবিতে আন্দোলনে নামা হবে।
১৮ নভেম্বর বারাবনির গৌরান্ডি হাটতলা, কাটাপাহাড়ি ও জামগ্রামে বিজেপির তিনটি কার্যালয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কার্যালয়ের আসবাবপত্র ভাঙচুর, দলের নেতা-কর্মীদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বিজেপির জেলা নেতৃত্ব আরও অভিযোগ করেন, ‘তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী’রা তাঁদের সমর্থকদের দোকান ও বাড়িতেও হামলা চালিয়ে লুটপাট করেছে। কাটাপাহাড়ি ও জামগ্রামে দলীয় কার্যালয় দখল করে তৃণমূলের পতাকা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় অশান্ত হয়ে ওঠে এলাকা।
এ দিন বারাবনির গৌরান্ডি হাটতলার কার্যালয়টি দেখতে আসেন বাবুল, মুকুল রায়-সহ বিজেপি নেতারা। সকালে দলের নুনি কার্যালয়ে জমায়েত করেন আসানসোল, বারাবনি ও কুলটির কর্মী-সমর্থকেরা। দুপুর ১টা নাগাদ বিজেপি নেতারা সেখানে পৌঁছন। সেখান থেকে নেতা-কর্মীরা গাড়িতে মিছিল করে দুপুর দেড়টা নাগাদ গৌরান্ডি পৌঁছন। নুনি ও গৌরান্ডি, দুই এলাকাতেই আগে থেকে পুলিশের বড় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল।
গৌরান্ডির ওই কার্যালয়ে গিয়ে বিজেপি নেতারা দলের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। কী ভাবে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়েছিল, নেতাদের কাছে সেই অভিযোগ জানান সে দিন ঘটনাস্থলে হাজির কর্মীরা। তা শোনার পরে বাবুলের অভিযোগ, ‘‘এ রাজ্যে অনেক রাজনৈতিক দল আছে, কিন্তু কেউ এই কাণ্ড করে না। শুধু তৃণমূলই এ সব করছে।’’ তিনি দাবি করেন, তৃণমূল যত বেশি তাঁদের কার্যালয় ভাঙবে, তত বেশি বিজেপি জিতবে। বারাবনির এই ঘটনা রাজ্য ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তুলে ধরে আন্দোলনে নামা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। পুলিশের উপস্থিতিতেই ওই হামলা হয়েছিল অভিযোগ করে মুকুল রায় দাবি করেন, ‘‘যাঁরা এখন বিজেপির অফিস ভাঙছেন, ভবিষ্যতে তাঁরাই বিজেপিতে আসবেন।’’
বিজেপির অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারির পাল্টা দাবি, ‘‘দলের মণ্ডল সভাপতি নির্বাচনকে ঘিরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে বিজেপিতে। তার জেরেই ওই গোলমালের ঘটনা ঘটেছে। সেই দোষ তৃণমূলের ঘাড়ে চাপাচ্ছে ওরা।’’ তাদের উপস্থিতিতে হামলার অভিযোগ মানতে চায়নি পুলিশও। এ দিন গোলমাল এড়াতে একাধিক এডিসিপি এবং এসিপি-র নেতৃত্বে পুলিশের বড় বাহিনী মোতায়েন করা হয় বারাবনিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy