ভস্মীভূত অফিস। নিজস্ব চিত্র
পুড়ে ছাই হয়ে গেল বিজেপির পার্টি অফিস। রবিবার মাঝরাতে ঘটনাটি ঘটে পশ্চিম বর্ধমানের সালানপুর থানার আছড়া মোড় লাগোয়া এলাকায়। এর পিছনে তৃণমূলের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের। অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা সোমবার রূপনারায়ণপুর বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া চিত্তরঞ্জন-সামডি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। সালানপুর থানাতেও এক প্রস্ত বিক্ষোভের পরে, স্মারকলিপিও দেন তাঁরা। পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এর পিছনে তাঁদের দলের যোগ নেই। বিজেপির ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের’ ফল।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস কয়েক আগে আছড়া মোড় লাগোয়া এলাকায় বাঁশ ও চাটাই দিয়ে এই কার্যালয়টি বানানো হয়েছিল। সামান্য কিছু আসবাবপত্র-সহ দলের পতাকা, ফেস্টুন রাখা ছিল সেখানে। কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, রবিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ তাঁরা দেখেন, কার্যালয়টি দাউদাউ করে জ্বলছে। তাঁরা বালতি করে জল এনে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু নিমেষে সব পুড়ে যায়।
সোমবার ভোরে বিষয়টি জানাজানি হতেই উত্তেজনা তৈরি হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ি ও সালানপুর থানার পুলিশ। বেলা বাড়তেই দোষীদের ধরার দাবিতে এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করেন বিজেপির কয়েকশো কর্মী-সমর্থক। দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ তাঁরা চিত্তরঞ্জন-সামডি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। এর জেরে তীব্র যানজট হয়। বিপাকে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। দুপুর ১টা নাগাদ বুঝিয়ে অবরোধ তুলে দেয় পুলিশ। এর পরে বিজেপির কর্মীরা সালানপুর থানায় গিয়ে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেন। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দোষীদের গ্রেফতার করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, গত লোকসভা ভোটের নিরিখে সালানপুরে তৃণমূলের থেকে বিজেপি কিছু ভোটে এগিয়ে রয়েছে। গত ১৮ নভেম্বর বারাবনির গৌরান্ডি-হাটতলা, কাঁটাপাহাড়ি ও জামগ্রাম অঞ্চলে বিজেপির তিনটি কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর হয়েছিল। সে বারও অভিযোগের আঙুল উঠেছিল তৃণমূলের দিকে।
সালানপুরের ঘটনার পিছনেও তৃণমূলের লোকজন জড়িত বলে দাবি বিজেপির আসানসোল জেলা কমিটির সহ-সভাপতি প্রশান্ত চক্রবর্তীর। তিনি বলেন, ‘‘সম্প্রতি সালানপুর এলাকায় এনআরসি ও সিএএর সমর্থনে সাধারণ নাগরিকদের নিয়ে সভা করা হয়েছে।’’ তাঁর দাবি, এই কর্মসূচিতে ভালই সাড়া মিলেছিল। এতেই ভয় পেয়েছে তৃণমূল। চলতি সপ্তাহ থেকে এই দুইয়ের সমর্থনে বাড়ি-বাড়ি প্রচার করার কথা ছিল। তাই কার্যালয় পুড়িয়ে তাঁদের চাপে রাখতে চাইছে তৃণমূল। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের সালানপুর ব্লক সভাপতি মহম্মদ আরমান। তাঁর পাল্টা দাবি, ‘‘এর পিছনে আমাদের দলের কেউ জড়িত নয়। তা ছাড়া, বিজেপি কোনও ভাবেই আমাদের জায়গা নিতে পারবে না। কয়েকমাস ধরেই ওদের দলে নেতৃত্ব নিয়ে গণ্ডগোল চলছে। আমাদের ধারণা, কার্যালয় পোড়ানোর পিছনে ওই গোষ্ঠী কোন্দলই রয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy