প্রতীকী চিত্র।
লোকসভা ভোটের পর থেকে ঘরছাড়া কর্মীদের একাংশ গ্রামে ফিরতেই তাঁদের মারধর করে ফের বার করে দেওয়া হয়েছে, অভিযোগ করল বিজেপি। মঙ্গলকোটের ঠেঙাপাড়া এলাকায় তৃণমূলের লোকজন তাঁদের ওই কর্মীদের মারধর করেছে বলে দাবি বিজেপি নেতাদের। যদিও তৃণমূলের দাবি, গ্রামীণ বিবাদে গোলমাল হয়েছে।
বিজেপির অভিযোগ, লোকসভা ভোটের পর থেকে ঝিলু ২ পঞ্চায়েতের ভাটপাড়া, ঠেঙাপাড়া-সহ নানা এলাকার প্রায় ৭০ জন কর্মী লোকসভা ভোটের পর থেকে তৃণমূলের ‘অত্যাচারে’ ঘরছাড়া রয়েছেন। তাঁদের প্রায় ৪০ জন মঙ্গলকোটের কৈচরে দলীয় কার্যালয়ে থাকছিলেন। বাকিরা নানা জায়গায় দিনমজুরের কাজ করছিলেন। কিন্তু, দিনের পর দিন বাড়ি ফিরতে না পারায় নানা সমস্যায় পড়ছেন বলে অভিযোগ। কাটোয়া মহকুমা প্রশাসনের কাছে ওই কর্মীদের গ্রামে ফেরার ব্যবস্থার দাবি জানানো হয়েছিল বলে দাবি বিজেপি নেতাদের।
বিজেপির জেলা সভাপতি সাংগঠনিক (কাটোয়া) কৃষ্ণ ঘোষের অভিযোগ, ‘‘দলীয় কর্মীরা যাতে শান্তিতে ঘরে ফিরতে পারেন, সে জন্য আমারা প্রশাসনের কাছে বারবার আবেদন-নিবেদন করলেও কোনও লাভ হয়নি। শুক্রবার পুলিশের অনুমতি নিয়ে কর্মীরা বাড়ি ফেরেন। কিন্তু তৃণমূল-আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ফের মারধর করে তাঁদের বাড়ি থেকে বার করে দিয়েছে।’’ তাঁদের অভিযোগ, শনিবার সকালে গ্রামে ফেরা কয়েকজনকে তৃণমূলের অফিসে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়েছে।
ঠ্যাঙাপাড়া গ্রামের পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা সুবীর ঘোষের দাবি, তাঁর দাদা শ্রীমন্ত ঘোষ প্রায় সাত মাস ঘরছাড়া ছিলেন। পুলিশের আশ্বাসে এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ বাড়ি ফেরেন। এর পরেই তৃণমূলের লোকজন এসে তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে তাদের পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করেছে বলে সুবীরবাবুর অভিযোগ। তিনি বলেন, ‘‘দাদা এখন কোথায় আছে জানি না।’’ মঙ্গলকোটের বিজেপি নেতা রানাপ্রতাপ গোস্বামীর অভিযোগ, ‘‘এ দিন তৃণমূলের লোকজনের মারে আমাদের সাত জন কর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন। কিন্তু ভয়ে কেউ হাসপাতালে যেতে পারেননি।’’
তৃণমূল যদিও অভিযোগ মানতে চায়নি। দলের মঙ্গলকোট ব্লক সভাপতি অপূর্ব চৌধুরী পাল্টা অভিযোগ করেন, ঠেঙাপাড়া গ্রামে এ দিন কিছু দুষ্কৃতী অশান্তি পাকাতে ঢুকেছিল। তা জানতে পেরে সাধারণ মানুষ প্রতিরোধ করেন। দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। তাঁর বক্তব্য, ‘‘এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। তৃণমূল কর্মীরা সব সময় মানুষের পাশে আছেন। বিজেপি মিথ্যা অভিযোগ তুলে রাজনীতি করতে চাইছে।’’
মহকুমাশাসক (কাটোয়া) প্রশান্তরাজ শুক্ল বলেন, ‘‘ওই গ্রামে ঠিক কী হয়েছে, পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানব। যাতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকে সে বিষয়ে পদক্ষেপ করা হবে।’’ পুলিশ জানায়, মারধরের কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। তবে গোলমালের খবর মেলায় গ্রামের পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy