—প্রতীকী ছবি।
বিজেপিতে যোগ দিয়ে রবিবার রাতে বাড়ি ফিরেছেন কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু। সোমবার দুপুরে বাড়িতে গিয়ে তাঁকে শুভেচ্ছা জানালেন শহরের বিজেপি নেতারা। বিজেপি নেতা সুশান্ত পাণ্ডের দাবি, শীঘ্রই দলের হয়ে পথে নেমে কর্মসূচি করবেন বিধায়ক।
বিধায়ক দল ছাড়ার পরেই কালনা শহরের সিদ্ধেশ্বরীতলায় পথসভা করে তাঁকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে আক্রমণ করেছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। এ দিন তাঁর জবাবে বিশ্বজিৎবাবু দাবি করেন, ‘‘আমার তৃণমূল ছাড়ার কয়েকটি কারণের মধ্যে একটি স্বপনদা নিজেই। বহু বার তাঁকে সমস্যা জানিয়েও কোনও বিচার পাইনি। আমাকে যাঁরা গালমন্দ করছেন, তাঁরা জানেন না তৃণমূল দলটার অবস্থা এখন তলানিতে।’’
গত কয়েকদিনে বিধায়কের নির্দেশে তৃণমূল কার্যালয় থেকে আসবাবপত্র, মনীষীদের ছবি সরিয়ে নেওয়া নিয়ে বিতর্ক বেধেছিল। পরের দিনই তৃণমূল কর্মীরা ওই কার্যালয় ধোয়ামোছা করতে শুরু করেন। তাঁরা দাবি করেন, কার্যালয় তৃণমূলের, বিধায়কের নয়। এ দিনও কর্মীদের একাংশ দাবি করেন, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকার ওই ঘরে তাঁর ঠাঁই নেই। বিধায়ক এ দিন দাবি করেন, ‘‘পুরসভা থেকে দেড় টাকা স্কোয়ার ফুটে কিনে ঘরটি তৈরি করা হয়েছিল। তাপসী মালিক স্মৃতি রক্ষা কমিটি এবং কালনা পর্যটন উৎসব কমিটি নামে দু’টি সংস্থার কাজ হত সেখানে। পরবর্তী সময়ে দলের নানা কাজও হত। দু’টি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাজের জন্যই ঘরটিকে ব্যবহার করার কথা বলব, না শুনলে আলাদা কথা।’’
এ দিনই আবার ওই কার্যালয়ে মাঝেমধ্যে বসে সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দেবেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী স্বপনবাবু। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, কালনা ও মন্তেশ্বরের বিধায়ক দল পরিবর্তন করায় সাধারণ মানুষ যাতে অসুবিধায় না পড়েন, সেই কারণেই এই উদ্যোগ। মন্ত্রী বলেন, ‘‘বিধায়কদের কাছে শংসাপত্র-সহ নানা কাজে সাধারণ মানুষ যান। কালনা এবং মন্তেশ্বর দুই জায়গাতেই মন্ত্রী হিসাবে সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy