উদ্ধার মোটরবাইক। নিজস্ব চিত্র
এক জনের মোটরবাইক খুঁজতে গিয়ে চুরি চক্রের হদিস মিলেছে, জানাল পুলিশ। মোট ২৮টি মোটরবাইক উদ্ধার করা ছাড়াও গ্রেফতার করা হয়েছে ছ’জনকে।
পুলিশ সুপার (পূর্ব বর্ধমান) ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বলেন, ‘‘মাধবডিহি থানা এলাকায় একটি মোটরবাইক খুঁজতে গিয়েই বড় চক্রের হদিস মিলেছে। ধৃতদের মধ্যে ৫ জন জেলার বাসিন্দা। এক জনের বাড়ি হুগলিতে। ধৃতদের বিরুদ্ধে আগে কোনও অভিযোগ রয়েছে কি না, তা জানা হচ্ছে।’’ তিনি আরও জানান, ধৃতেরা বিভিন্ন জায়গা থেকে মোটরবাইকগুলি চুরি করেছে। বিশেষ সফটঅয়্যারের মাধ্যমে কোন কোন এলাকা থেকে বাইকগুলি চুরি হয়েছিল, তা খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
মাধবডিহি থানা সূত্রে জানা যায়, ২৭ ডিসেম্বর কুমারপুরের বাসিন্দা শেখ জাহিরুল ইসলামের মোটরবাইক গোতান বাজার থেকে চুরি যায় বলে অভিযোগ। পুলিশের দাবি, তদন্তে নেমে জানা যায়, স্থানীয় যুবক শেখ গিয়াসুদ্দিন ওরফে ফটিক পুরনো মোটরবাইক বেচাকেনা করে। উচালন বাজারে তার গ্যারাজে হানা দিয়ে ওই মোটরবাইকটি মেলে। তাকে জেরা করে দেওরা গ্রামের রাজা মাঝি ও রায়নার মিরেপোতার শ্যামল দে-র গ্যারাজে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে বেশ কয়েকটি মোটরবাইক পাওয়া যায়। তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় তাঁদের কাছে ধৃতেরা জানায়, হুগলির গোঘাটের আমবৌলার শ্যামল ধারা, মাধবডিহির একলক্ষ্মীর শেখ সামেদউদ্দিন ও ভঞ্জপুরের মহম্মদ লালন ফকির এই চক্রে জড়িত। পুলিশ তাদেরও গ্রেফতার করে।
পুলিশ জানায়, প্রথমে ১৪টি মোটরবাইক মিলেছিল। ধৃতদের আদালতে তোলার পরে হেফাজতে নিয়ে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আরও ১৪টি মোটরবাইক উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সুপার জানান, দু’টি পৃথক মামলা রুজু করা হয়েছে। আরও কেউ এই চক্রে জড়িত কি না দেখা হচ্ছে। তাঁর দাবি, মূলত জনবহুল নয় বা লোকজন কম যাতায়াত করে, এমন জায়গা থেকেই মোটরবাইক চুরি করার প্রবণতা রয়েছে দুষ্কৃতীদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy