Advertisement
E-Paper

তৃণমূলের ১৩ নেতা দোষী সাব্যস্ত! একজনের ৩, বাকি ১২-কে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিল আদালত

২০১৭ সালে খুনের চেষ্টা, মারধর-সহ একাধিক ধারায় মামলা হয় বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান কাকলি তা গুপ্ত-সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে। গত সোমবার ওই ১৩ ‘ওজনদার’ নেতাকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেয় আদালত।

দোষী তৃণমূল নেতাদের আদালত থেকে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

দোষী তৃণমূল নেতাদের আদালত থেকে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। — নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৫ ১৮:৪৮
Share
Save

খুনের চেষ্টা, গন্ডগোল পাকানো সংক্রান্ত আট বছরের পুরনো মামলায় বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান কাকলি তা গুপ্তকে তিন বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০০০ টাকা জরিমানার নির্দেশ দিল আদালত। ওই একই মামলায় বর্ধমান-১ ব্লকের তৃণমূল যুব সভাপতি এবং পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মানস ভট্টাচার্য-সহ শাসকদলের ১২ জন অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন বিচারক। শুক্রবার মানস, শেখ জামাল, কার্তিক বাগদের ১০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। গত সোমবারই তৃণমূলের ওই ১৩ ‘ওজনদার’ নেতাকে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন ফাস্ট ট্র্যাক সেকেন্ড কোর্টের বিচারক অরবিন্দ মিশ্র।

২০১৭ সালে খুনের চেষ্টা, মারধর-সহ একাধিক ধারায় মামলা হয় বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা বর্ধমান-১ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কাকলি, ওই ব্লকের যুব সভাপতি মানস, তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান কার্তিক এবং রায়ান-১ অঞ্চলের সভাপতি শেখ জামাল-সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে। গত ২৪ মার্চ তাঁদের দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। সে দিন আদালত থেকে সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে পড়েন কাকলি, মানস, কার্তিক এবং জামাল। তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান মেডিক্যালের জরুরি বিভাগে। বুকে ব্যথার কথা জানান কাকলি। ইসিজি রির্পোটে সমস্যা ধরা পড়ে। তখন তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ‘উইংস’ অনাময় সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে।

মঙ্গলবার আদালতে অভিযুক্তরা সকলে হাজির না -হওয়ায় রায় ঘোষণা পিছিয়ে গিয়েছিল। বুধবার দুপুরের পর আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় ১২ অভিযুক্তকে। কাকলি বয়ান দেন হাসপাতাল থেকে। ভিডিয়ো কনফারেন্সে তাঁর বক্তব্য শোনেন বিচারক। শুক্রবার সকলকে আদালতে হাজির করানোর জন্য জেলারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক মিশ্র। কাকলির আইনজীবী বিশ্বজিৎ তা তাঁর মক্কেলের জন্য ৩৬০ সিআরপিসিতে আবেদন জানিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার এক আইনজীবীর মৃত্যুতে সাজা ঘোষণা আবার পিছিয়ে যায়। শুক্রবার নানা কারণে রায়দান বিলম্বিত হলেও বিকেলে চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেছেন বিচারক।

আইনজীবীরা জানান, কাকলির অসুস্থতার কারণে তাঁকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। তাঁর আইনজীবী বলেন, ‘‘আজ (শুক্রবার) নিয়ম মেনে কাকলি তা গুপ্তের জামিনের আবেদন করেছি।’’ শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে কাকলির জামিনের আবেদন গ্রহণ করেছে আদালত।

কাকলির বলেন, ‘‘যে হেতু তিন বছরের সাজা ঘোষণা হয়, নিয়ম অনুযায়ী, আজই (শুক্রবার) রিট পিটিশন জমা দেওয়া হয় বর্ধমান আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক সেকেন্ড কোর্টের বিচারক অরবিন্দ মিশ্রের কাছে। তিনি ২০ হাজার টাকার বন্ডের জামিন ঘোষণা করেছেন।’’ তবে শুক্রবরাই ছাড়া পাবেন কি না তা নির্ভর করছে আদালতের প্রক্রিয়ার উপর। জানা যাচ্ছে, এটা ‘অস্থায়ী জামিন।’ এর পরে হাই কোর্টে জামিনের জন্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবেদন করতে হবে।

Bardhaman court TMC Leaders Crime Imprisonment

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}