নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ বোঝাই একটি ট্রাক আটক করল পুলিশ। মঙ্গলবার মধ্যরাতে পশ্চিমবঙ্গ-ঝাড়খণ্ড সীমানার ডুবুরডিহি চেকপোস্টের ঘটনা। পুলিশের দাবি, প্রায় তিন হাজার বোতল সিরাপ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যার বাজারমূল্য প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা। ট্রাকের চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের কাছে আগাম খবর ছিল, কলকাতাগামী একটি ট্রাকে করে নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ পাচার করা হচ্ছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে ডুবুরডিহি চেকপোস্টে নাকা-তল্লাশি শুরু হয়। রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ সীমানা পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ঢোকার মুখেই পুলিশ ট্রাকটিকে আটকায়। পুলিশের দাবি, ট্রাকে কী আছে জিজ্ঞাসা করায়, চালক জানান, মশলা রয়েছে। ট্রাকটি কানপুর থেকে কলকাতা যাচ্ছে জেনে তল্লাশি শুরু করা হয়। দেখা যায়, ট্রাকে সিরাপের বোতল রয়েছে। পুলিশ জানায়, ৩০টি পেটির প্রত্যেকটিতে ১০০টি করে বোতল রয়েছে। এর পরেই চালক অনিলকুমার পালকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার ধৃতকে আসানসোলের সিজেএম আদালতে তোলা হলে, আট দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়। এই প্রসঙ্গে আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের এসিপি (কুলটি) সুকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “নিষিদ্ধ সিরাপগুলি কোথা থেকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, পুলিশ তার তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনায় জড়িত প্রত্যেককে ধরা হবে।” প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, এই সিরাপের খুব চাহিদা রয়েছে বাংলাদেশে। ভিন্ রাজ্য থেকে সিরাপগুলি প্রথমে কলকাতায় আনা হয়। পরে, সেখান থেকে বনগাঁ, মছলন্দপুর, মুর্শিদাবাদ হয়ে বাংলাদেশে পাচার করা হয়ে থাকে।
প্রাথমিক জেরায় পুলিশের কাছে চালক অনিল দাবি করেছেন, কানপুর থেকে তাঁরই উপস্থিতিতে ট্রাকে মশলা চাপানো হয়েছিল। মশলার পেটিগুলি ত্রিপল দিয়ে ঢাকা দিয়ে দেওয়া হয়। এর পরে তিনি বাড়ি চলে যান। প্রায় দু’ঘণ্টা পরে তিনি ফিরে এসে ট্রাকের ডালা দেখে বুঝতে পারেন, এতে আরও কিছু চাপানো হয়েছে। চালকের আরও দাবি, তখন তিনি ট্রান্সপোর্টের মালিককে প্রশ্ন করে জানতে পারেন, তিরিশ পেটির মতো কাশির সিরাপ চাপানো হয়েছে। এ কথা শোনার পরে তিনি ওই নিষিদ্ধ ওষুধ বোঝাই ট্রাক চালাতে অস্বীকার করেন। কিন্তু চাপের মুখে তিনি ট্রাক নিয়ে রওনা দেন বলে দাবি।
সম্প্রতি সাঁকতোড়িয়ায় এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে গুলি চালিয়ে লুটপাটের ঘটনার পরে, সীমানায় নজরদারি বাড়িয়েছে পুলিশ। কমিশনারেটের আধিকারিকেরাও রাত-বিরেতে ডুবুরডিহি চেকপোস্টে নাকা-তল্লাশি চালাচ্ছেন। পুলিশ জানায়, সিরাপ পাচারের খবর পাওয়ার পরে, তল্লাশি আরও বাড়ানো হয়। ধৃতকে জেরা করে আরও কিছু তথ্য জানার পাশাপাশি, চক্রের বাকিদেরও ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy