প্রতীকী ছবি
মুখে, হাতে চোট নিয়ে মাটিতে পড়ে কাতরাচ্ছেন যুবতী। ছুটোছুটি করে লোকজন ডাকাডাকি, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে ব্যস্ত আত্মীয় যুবক। বারবার দোষীকে খুঁজে বার করে শাস্তি দেওয়ার দাবিও করছিলেন তিনি। কাটোয়ার পলসোনা গ্রামে আক্রান্ত বধূর আত্মীয় ওই যুবককে পুলিশ গ্রেফতারের পরে হতবাক স্থানীয় বাসিন্দারা। কেউ যে এমন কাণ্ড ঘটাতে পারে, ভাবতে পারছেন না তাঁরা।
শুক্রবার রাতে ‘হামলা’য় আড়াআড়ি মুখে চোট লাগে ওই যুবতীর। কাটা যায় বাঁ হাতের তিন আঙুল। রবিবার ওই ঘটনায় অভিযুক্ত হিসেবে রতন ঘোষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, জেরায় অভিযুক্ত স্বীকার করেছেন ওই যুবতী কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আক্রান্ত যুবতীর বাড়ির কাছাকাছিই রতনদের বাড়ি। ২১ বছরের ওই যুবক বিবাহিত। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক বৃদ্ধা বলেন, ‘‘রতন ছোট থেকে আমাদের বাড়িতেই থাকে। সে দিন আওয়াজ পেয়ে আমিও গিয়েছিলাম। রতনও ওখানেই ছিল। কিন্তু ওই এ সব করেছে ভাবতে পারছি না। মনে হচ্ছে দুধ-কলা দিয়ে কালসাপ পুষেছিলাম।’’ প্রতিবেশীরাও জানান, বছর খানেক আগে বাড়ির অমতে বিয়ে করেন রতন। তা নিয়ে অশান্তি হয়। তবে পুরোটাই পারিবারিক বিষয়। কোনও দিন তার হাবভাবে এ ধরনের মানসিকতা প্রকাশ পায়নি বলেও তাঁদের দাবি। যদিও এ দিনের ঘটনা জানার পরে মত বদলে গিয়েছে অনেকেরই।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন স্বাভাবিক আচরণ ছিল তাঁর। চোখেমুখে আতঙ্কের চিহ্ন ছিল না। ওই যুবকই ফোন করে ঘটনার খবর দিয়েছিেলন আক্রান্ত যুবতীর স্বামীকে। পরে রতনের ভাঙা মোবাইল দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। ‘হামলা’র কথাও সামনে আসে, দাবি পুলিশের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy