জাতীয় সড়কে আটকে গেল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের দল। — নিজস্ব চিত্র।
উত্তরপ্রদেশের পুলিশ দুর্গাপুরে এসেছিল এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে। কিন্তু অভিযোগ, জানানো হয়নি স্থানীয় থানাকে। নাটকীয় ভাবে ওই ব্যক্তিকে গাড়িতে তুলেও ফেলেছিল উত্তরপ্রদেশের পুলিশ। স্থানীয়দের কাছে অপহরণের অভিযোগ পেয়ে তৎপর হয় পুলিশ। তাড়া করে আসানসোল থেকে ধরা হয় গাড়িটিকে। তার পর জানা যায়, অন্য একটি মামলায় অভিযুক্ত এক জনকে ধরতে এসেছিল উত্তরপ্রদেশের পুলিশ। গোটা ঘটনাপ্রবাহ দেখে অনেকেই মনে করছেন, রানিগঞ্জের সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনার পর তৎপরতা বেড়েছে পুলিশের।
জানা গিয়েছে, পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর থানার অন্তর্গত ওয়ারিয়ার বাসিন্দা মাখনলাল মীনা পেশায় ডাক বিভাগের কর্মী। সকাল ১০টা নাগাদ তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে সিটি সেন্টারের কাছের ডাকঘরে আসছিলেন কাজে যোগ দিতে। পেয়ালা মন্দিরের উল্টো দিকে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের সার্ভিস রোডে উঠতেই উত্তরপ্রদেশের নম্বরপ্লেট লাগানো একটি চার চাকার গাড়ি নিয়ে চার জন তাঁর বাইক দাঁড় করান। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, এর পরেই ওই ব্যক্তিকে মারতে মারতে গাড়িতে তুলে নিয়ে আসানসোলের দিকে পালিয়ে যায় গাড়ি। এই ঘটনা দেখার পর চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে দুর্গাপুরে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দুর্গাপুর থানার পুলিশ।
আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ কন্যাপুরে জাতীয় সড়কের উপরে নাকায় গাড়িটি থামায়। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সুবীর রায় জানান, যাঁরা অপহরণের কায়দায় মাখনলালকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, তাঁরা আদতে উত্তরপ্রদেশের পুলিশকর্মী। ভিন্রাজ্যের পুলিশের কাছে মাখনলালকে ধরে নিয়ে যাওয়ার আইনগত নথিও রয়েছে। কিন্তু নিয়ে যাওয়ার পদ্ধতিগত কিছু ভুল হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন। রাজস্থানের বাসিন্দা মাখনলাল মীনা উত্তরপ্রদেশে কোনও প্রতারণার মামলায় জড়িত বলে জানা গিয়েছে। তাই তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছিল উত্তরপ্রদেশের পুলিশ। কিন্তু যে পদ্ধতিতে মাখনলালকে মারধর করে অপহরণের কায়দায় তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy