রাজবাড়ি কমপ্লেক্স। নিজস্ব চিত্র।
তাদের নজরদারিতে থাকা কালনার রাজবাড়ি কমপ্লেক্সের মধ্যে নিয়ম ভেঙে পুরপ্রধানের টোটো ঢোকানো ও বাধা দিতে গেলে নিরাপত্তা রক্ষীকে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা একেবারেই হাল্কা ভাবে নিচ্ছে না ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ। অভিযোগ, বুধবার ওখানে থাকা তাদের কার্যালয়ে ঢুকেও হুমকি, আধিকারিকদের অপমান করা হয়। আজ, শুক্রবার ঘটনার তদন্তে আসছেন পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের কলকাতা শাখার ডেপুটি সুপারেনটেন্ডিং আর্কিওলজিস্ট সুনিপা কেতকার। জানা গিয়েছে, দফতরের কর্মী, রক্ষীদের কাছ থেকে পুরো ঘটনা শুনবেন তিনি। থানায় ডায়েরি করা হতে পারে বলেও জানা গিয়েছে।
এ দিকে, বার বার বিতর্কে জড়িয়ে পড়ায় পুরপ্রধান আনন্দ দত্তকে নিয়ে অস্বস্তিতে তৃণমূল। বৃহস্পতিবার কালনার বাজার, চায়ের দোকান, সর্বত্রই এই নিয়ে আলোচনা শোনা যায়। হাতে হাতে ঘুরছে ঘটনার ভাইরাল হওয়া ছবি, ভিডিয়ো। কেউ বলছেন, পুরপ্রধানের নিজের হাতে আইন তুলে নেওযা কাম্য নয়। কেউ বলছেন, জনপ্রতিনিধিদের সংযত হওয়া উচিত। বিষয়টি আলোচনা করে মেটানো যেত বলেও দাবি করেছেন অনেকে।
ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবারের ঘটনার বেশ কিছু ভিডিয়ো মোবাইলে তোলা হয়েছিল। তবে পুরপ্রধান থাকাকালীন কিছু লোকজন তাদের কার্যালয়ে ঢুকে হুমকি দিয়ে বেশির ভাগ ভিডিয়ো মুছে দেয়। দু’টি মোবাইল রাখতে পারেন তাঁরা। ওই ফুটেজগুলি সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তাঁরা। সংস্থার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘বিশেষ কাজে দিল্লিতে রয়েছেন সংস্থার কলকাতা শাখার সুপারেনটেন্ডিং আর্কিওলজিস্ট রাজেন্দ্রপ্রসাদ যাদব। তবে ঘটনার কথা জানানো হয়েছে তাঁকে। ভিডিয়োও দেখেছেন তিনি। আধিকারিকদের সঙ্গে কথাও বলেছেন। কী ভাবে এগোতে হবে তার নির্দেশও দিয়েছেন।’’
রাজবাড়ির ভিতর এবং লাগোয়া ১০৮ মন্দির মিলিয়ে ১১টি পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন রয়েছে। মন্দিরগুলির জন্য রয়েছেন ছ’জন নিরাপত্তারক্ষী। পালা করে তাঁরা দায়িত্বে থাকেন। সারা বছর পর্যটকদের ভিড় থাকে। তবে কোথাও সিসিটিভি নেই। কেন্দ্রীয় সংস্থাটির দাবি, বুধবারের ঘটনার পরে ক্যামেরা লাগানো যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তা বোঝা গিয়েছে। সিসিটিভি থাকলেও ঘটনার আরও ছবি পাওয়া যেত। কালনা সাব সার্কেলের সিনিয়র কনজারভেশন অ্যাসিস্ট্যান্ট অমিত মালো বলেন, ‘‘নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভি লাগানো যে প্রয়োজনী, তা কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি সিসিটিভি বসানো হবে।’’
জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দলের কাছে বিষয়টি নিয়ে কেউ অভিযোগ করেননি। তবে সংবাদমাধ্যম মারফত বিষয়টি জানতে পেরেছি। কেন এমন ঘটনা ঘটল এ ব্যাপারে কালনার পুরপ্রধানকে চিঠি পাঠিয়ে জানতে চাওয়া হচ্ছে। তাঁর উত্তর পাওয়ার পরে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy