মুখ্যমন্ত্রীর বার্তার পর কিছুটা হালকা মেজাজে অনুব্রত? ফাইল চিত্র।
আসানসোল থেকে শক্তিগড় আসার পথে আবার শক্তিগড়ে থমকাল অনুব্রত মণ্ডলের গাড়ি। আবার সেই ২ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে একটি ল্যাংচার দোকানের সামনে তিনি। তবে নিজে গাড়ি থেকে নামলেন না বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতি। মিনিট দশেক শক্তিগড়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে গাড়ি। তার পর কেষ্টর জন্য গেল চারটি কচুরি আর ছোলার ডাল। প্যাকেট করে সেগুলো গাড়ির ভিতরে নিয়ে যান পুলিশকর্মীরা। পরে এক কাপ লিকার চা খান কেষ্ট। তবে সবই গাড়ির ভিতরে বসে।
অন্য দিকে অনুব্রতের জন্য চারটে রাধাবল্লভী, ছোলার ডাল আর দুটো সেদ্ধ ডিমের ‘অর্ডার’ ছিল জাতীয় সড়কের পাশে সিঙ্গুরের ‘নবান্ন’ হোটেলে। সেই জলখাবার নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন এক জন ট্র্যাফিক পুলিশ কর্মী। যদিও বীরভূম জেলা সভাপতির জন্য আগেই শক্তিগড়ে ল্যাংচার দোকানে দাঁড়িয়ে জলখাবার তুলে নেওয়া হয় গাড়িতে। তাই সিঙ্গুরের খাবার বাতিল করতে হয়। সেই খাবার সিঙ্গুর ট্র্যাফিক অফিসে নিয়ে চলে যান ওই পুলিশ কর্মী।
মঙ্গলকোট বিস্ফোরণ মামলায় বিধাননগরে এমপি-এমএলএ আদালতে পেশ করার জন্য শুক্রবার আসানসোল সংশোধনাগার থেকে কলকাতায় আনা হচ্ছে অনুব্রতকে। তবে শুক্রবার বেশ ফুরফুরে দেখিয়েছে অনুব্রতকে। আবার স্বভাবসিদ্ধ ঢঙে চোখাচোখা মন্তব্য করেছেন তিনি। বলেছেন, ‘জেলে কন্টিনিউ কেউ থাকে না, ছাড়া পায়। নিশ্চয়ই ছাড়া পাব, ছাড়া পেলে যাব। এ আর বলার কী আছে।’’ গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়া বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি বলেন, ‘‘জেলে তো কেউ সারা জীবন থাকে না।’’
বৃহস্পতিবার স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। বীরভূমের বিধায়ককে বলেছেন, কেষ্টকে বীরের মতো জেলে থেকে বের করে নিয়ে যেতে। সেই কথা অনুব্রতের কানে যাওয়ার পর কিছুটা যেন চাঙ্গা দেখিয়েছে কেষ্টকে। বলেন, ‘‘দিদি পাশে আছে... এনাফ (অনেক)।’’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘‘জেলে কন্টিনিউ কেউ থাকে না, ছাড়া পায়। নিশ্চয়ই ছাড়া পাব, ছাড়া পেলে যাব। এ আর বলার কী আছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy