চলছে উদ্ধারকাজ। নিজস্ব চিত্র
আন্তঃজেলা সীমানা ‘সিল’। তাই পুলিশ-প্রশাসনের নজর এড়িয়ে অল্প সময়ে দামোদর পেরিয়ে পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জ এবং বাঁকুড়ার মেজিয়ার মধ্যে যাতায়াত চলছে বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার সে ভাবে নদ পেরোতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হল মরা বাউড়ি (৫৫) নামে বাঁকুড়ার এক প্রৌঢ়ের। মঙ্গলবার রানিগঞ্জের বল্লভপুর পঞ্চায়েত লাগোয়া দামোদরে ঘটনাটি ঘটে।
মেজিয়া থানা সূত্রে জানা যায়, গোপালগঞ্জের কদমতলা মাঝপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন মরাবাবু। পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ৮ মে রানিগঞ্জের আমরাসোঁতায় মেয়ের বাড়িতে খাদ্যদ্রব্য দিতে এসেছিলেন তিনি। পরে স্ত্রী কুড়ানিদেবীর সঙ্গে বল্লভপুরের নূপুর গ্রামে দিদি মিথিলা বাউড়ির বাড়ি যান মরাবাবু। সেখান থেকে এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ কুড়ানিদেবী ও মরাবাবু নূপুর লাগোয়া দামোদরের ঘাট থেকে হেঁটে নদ পেরিয়ে বাঁকুড়ায় বাড়ি ফিরছিলেন।
কুড়ানিদেবী বলেন, ‘‘মাঝ-নদে একটা চড়া ছিল। সেখানে প্রায় এক বুক জল। ওখানে নামতেই স্বামী তলিয়ে যান। সাঁতার কেটে বাঁচানোর চেষ্টা করি। কিন্তু, তা না পেরে ননদের বাড়ি যাই।’’ মরাবাবুর দিদি মিথিলাদেবী জানান, পুলিশে খবর দেওয়া হয়। এর পরেই বল্লভপুর পুলিশ আউটপোস্ট ও মেজিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দেহটি উদ্ধার করে। মেজিয়া থানা জানায়, অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মিথিলাদেবীর দাবি, ‘‘ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রী দিনমজুর। সরকার পরিবারের পাশে দাঁড়াক।” রানিগঞ্জের সিপিএম বিধায়ক রুনু দত্তেরও প্রতিক্রিয়া, “মৃতের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে।’’ বিডিও (রানিগঞ্জ) অভীক বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘‘এ ভাবে ডুবে মৃত্যুর ঘটনায় আর্থিক ক্ষতিপূরণের কোনও ব্যবস্থা নেই। তবে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy