Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
Leprosy patient

কুষ্ঠে আঙুল নষ্ট, আধার কার্ড না পেয়ে বিপাকে বৃদ্ধা

বৃদ্ধার দাবি, আধার কার্ড না থাকায় স্বাস্থ্যসাথী ও রাজ্য সরকারের অন্য সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে নিজের নাম নথিভুক্ত করাতে পারেননি তিনি।

Sourced by the ABP

নীলোৎপল রায়চৌধুরী
অন্ডাল শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:২৫
Share: Save:

কুষ্ঠরোগে নষ্ট হয়ে গিয়েছে হাত ও পায়ের সব আঙুলের অর্ধেকাংশ। আঙুলের ছাপ দিতে না পারায় আধার কার্ড হয়নি উখড়া পঞ্চায়েতের বছর তেষট্টির এক বৃদ্ধার। বিধবা ভাতা বাবদ যে সামান্য অর্থ আসে, তা দিয়েই কোনও রকমে দিন কাটে তাঁর। এ দিকে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আধার কার্ড না থাকলে সরকারের সামাজিক প্রকল্পের সুবিধা ভবিষ্যতে মিলবে না। শুনে মাথায় হাত
পড়েছে তাঁর।

ওই বৃদ্ধা থাকেন তাঁর ভাইয়ের বাড়ির পাশে নিজের বাড়িতে। আপাতত রোগমুক্ত তিনি। বৃদ্ধা বলেন, ‘‘স্বামী অনেক দিন আগেই মারা গিয়েছেন। প্রায় দু’দশক ধরে বিধবা ভাতা পাচ্ছি। আমি যখন ভাতা পাওয়া শুরু করি, তখন আধার কার্ড চালু হয়নি। ভাতা পেতে এত দিন কোনও সমস্যা হয়নি।’’ আধার কার্ড চালু হলেও বৃদ্ধা আঙুলের ছাপ দিতে না পারায় তাঁর নামে কার্ড তৈরি করা যায়নি। তাঁর দাবি, ‘‘সম্প্রতি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানান, আধার কার্ড না থাকলে ভবিষ্যতে এই সুযোগ (ভাতা) থেকে বঞ্চিত হতে হবে। এ বার আমি কী করব?’’

বৃদ্ধার দাবি, আধার কার্ড না থাকায় স্বাস্থ্যসাথী ও রাজ্য সরকারের অন্য সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে নিজের নাম নথিভুক্ত করাতে পারেননি তিনি। তাঁর অভিযোগ, ‘‘আধার কার্ডের জন্য এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ছোটাছুটি করেও লাভ হয়নি। রাজ্য সরকারের সামাজিক প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য দুয়ারে সরকার শিবিরে গিয়েছিলাম। কিন্তু ফিরে আসতে হয়েছে। পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তাতেও সমস্যা মেটেনি’’

স্থানীয় সিপিএম নেতা স্বর্ণময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘২০০৮-এ আমরা ওই বৃদ্ধাকে বিধবা ভাতা পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম। তার পরে ওঁর পাশে পঞ্চায়েত দাঁড়ায়নি।’’ উখড়া পঞ্চায়েতের প্রধান, তৃণমূলের মীনা কোলে বলেন, ‘‘ওই বৃদ্ধা আমার কাছে আগে কোনও অভিযোগ করেননি। হাতের আঙুল না থাকলে চোখের মণির সাহায্যে আধার কার্ড তৈরি করা যায়। শনিবার তাঁকে উখড়ায় দু’টি আধার কেন্দ্রে পাঠিয়েছিলাম। পরে জানা যায়, ওই দুটি কেন্দ্রে অনূর্ধ্ব আঠারো বছর বয়সিদের আধার কার্ড তৈরি করা হয়। তবে আধার কার্ড সংশোধনের কাজ হয় সেখানে। আসানসোলে
গিয়ে আধার কার্ড তৈরি করাতে হবে ওই বৃদ্ধাকে। পঞ্চায়েত সেই ব্যবস্থা করে দেবে।’’

অকেজো পাম্প

কাঁকসা: দীর্ঘদিন আগে তৈরি সাবমার্সিবেল পাম্প বেশ কয়েক বছর আগেই খারাপ হওয়ার পরে আর মেরামত হয়নি। কাঁকসার ত্রিলোকচন্দ্রপুর পঞ্চায়েতে এমনই তিনটি পাম্প-ঘর থাকলেও, সেখানে পাম্পের কোনও চিহ্ন নেই। স্থানীয়দের দাবি, এলাকায় সেচের জল মিললেও, বোরো চাষের সময় প্রতি বছর ক্যানালের জল মেলে না। ওই পাম্পগুলি থাকলে সেই সমস্যা দূর হত। সমস্যা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতি।

অন্য বিষয়গুলি:

Andal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy