ক্ষতিপূরণের দাবিতে। নিজস্ব চিত্র
কৃষিজমি জোর দখল করে কয়লা উত্তোলনের অভিযোগ উঠল কুলটির রামনগর কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। জমি ফেরতের দাবিতে বুধবার থেকে কোলিয়ারি কার্যালয় চত্বরে ধর্নায় বসেছেন ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধা। ওই বৃদ্ধার সঙ্গে দেখা করেন কুলটির প্রাক্তন বিধায়ক তথা তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়। ওই বৃদ্ধা সুবিচার না পেলে আগামী শনিবার থেকে খনির কাজ বন্ধ করে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেন উজ্জ্বল। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন খনি কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, ওই জমি কোলিয়ারির নিজস্ব। জমি দখলের প্রশ্নই ওঠে না।
বুধবার সকাল থেকে ম্যারাপ বেঁধে ধর্না শুরু করেন রামনগর গ্রামের বাসিন্দা ছবি পাল। বৃদ্ধার অভিযোগ, প্রায় ১৫ বছর আগে তাঁর স্বামী লছমন পালের নামে থাকা কিছু পরিমাণ কৃষিজমি দখল করে নেন সেলের রামনগর কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষ। সেখানে কয়লা উত্তোলন করা হয়েছে। ছবির দাবি, “বিষয়টি নজরে আনায় প্রথম দিকে কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষ নিজেদের ভুল স্বীকার করে ক্ষতিপূরণ ও চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু কিছুই মেলেনি। গত ১৫ বছর ধরে আবেদন করেও লাভ হয়নি।” তিনি বলেন, “২০১৯ সালে আমার স্বামী মারা যান। এর পরে জমি ফেরত চেয়ে ধর্নায় বসতে হয়েছে।”
উজ্জ্বলের অভিযোগ, ২০০৮ সালের পর রামনগর অঞ্চলের বহু বাসিন্দার কৃষিজমি দখল করে কয়লা উত্তোলন করেছেন খনি কর্তৃপক্ষ। প্রতিশ্রুতি দিলেও খনি কর্তৃপক্ষ কোনও ক্ষতিপূরণ বা জমি মালিকদের চাকরি দেননি। উজ্জ্বল বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রতিষ্ঠানটির অন্যায় আচরণ কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।”
কোলিয়ারির ম্যানেজার মহম্মদ আহমেদের পাল্টা দাবি, “উনি (ছবি পাল) যে জমিটি নিজের বলে দাবি করছেন, সেটি তাঁর নয় বলে ভূমি দফতরের তরফে জানানো হয়েছে। খনি কর্তৃপক্ষের তরফে চিঠি দিয়ে তা তাঁকে জানানো হয়েছে।” তিনি জানান, মঙ্গলবারও ওই বৃদ্ধার সঙ্গে আলোচনা করে ধর্নায় না বসার অনুরোধ করা হয়েছিল। তাঁকে সব সময় আলোচনার জন্য ডাকা হচ্ছে। তাঁর কৃষিজমিতে কোনও রকম কয়লা উত্তোলন করা হয়নি বলে দাবি ম্যানেজারের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy