এক নাবালকের দেহ রাস্তার ধারে ফেলে পালানোর অভিযোগ উঠেছে এক অ্যাম্বুল্যান্স চালকের বিরুদ্ধে। প্রতীকী ছবি।
ভিন্ রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক হাসেবে কাজে যাওয়া এক নাবালকের দেহ রাস্তার ধারে ফেলে পালানোর অভিযোগ উঠেছে এক অ্যাম্বুল্যান্স চালকের বিরুদ্ধে। মেমারির পালসিট স্টেশন সংলগ্ন দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ধারে রবিবার বিকেলে দেহটি পায় পুলিশ। ওই অ্যাম্বুল্যান্স চালকের খোঁজ শুরু হয়েছে।
বিজেপি নেতাদের কটাক্ষ, রোজগারের জন্য পরিযায়ী শ্রমিক হতে বাধ্য করছে তৃণমূল সরকার। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, ওই নাবালক গুজরাতে কাজে গিয়েছিলেন। সেখানে কোনও সুরক্ষা নেই, এই ঘটনায় তা প্রমাণিত।
পুলিশ জানিয়েছে, হুগলির মগরার ওই নাবালক কাজের সন্ধানে ১৪ মাস আগে বাড়ি ছেড়েছিল। এক ‘দালালের’ মাধ্যমে গুজরাতের রাজকোটে গয়না প্রস্তুতকারক কারখানায় কাজ পায় সে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, বাড়ি ছাড়ার পরে পরিজনদের সঙ্গে ওই নাবালকের কোনও যোগাযোগ ছিল না। হঠাৎ করে ওই দালালের মাধ্যমে তাঁরা জানতে পারেন, ছেলে খুব অসুস্থ হয়ে গুজরাতের একটি হাসপাতালে ভর্তি। শুক্রবার রাতে জানতে পারেন, ছেলে অসুস্থ অবস্থায় রাজকোটের হাসপাতালে মারা গিয়েছে।
তদন্তকারীদের দাবি, অ্যাম্বুল্যান্সে করে দেহ হুগলির মগড়াইয়ের বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছিলেন চালক। পালসিট স্টেশনের কাছে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ধারে কেন দেহ ফেলে পালিয়ে গেলেন, বোঝা যাচ্ছে না। পুলিশের দাবি, স্থানীয় সিভিক ভলান্টিয়ার নিখিল টুডুর সাহায্যে মৃতদেহের পরিচয় জানা যায়। তারপরে দেহটিকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়না-তদন্তের জন্য পাঠানো হয়। চিকিৎসকদের দাবি, ওই যুবক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, তা বোঝা গিয়েছে। দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। মৃতের পরিজনেরাও মেমারি থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি।
মৃতের দাদা দেবরাজ মান্ডি বলেন, ‘‘বাড়িতে বাবা, মা, ঠাকুমা রয়েছে। ভাই উপার্জনের আশায় বছর খানেক আগে গুজরাতের রাজকোটে গিয়েছিল। হঠাৎ করে সব কেমন হয়ে গেল।’’ তাঁদের দাবি, রওনা হওয়ার পর থেকে অ্যাম্বুল্যান্স চালকের সঙ্গে তাঁরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছিলেন। রবিবার দুপুরের পর থেকে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। বিকেলে দেহ মেলে।
বিজেপির বর্ধমান সাংগঠনিক জেলার অন্যতম সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্রের দাবি, ‘‘বাংলায় কোনও কাজ নেই। রয়েছে শুধু দুর্নীতি। সেই কারণে পেটের টানে এক নাবালককে পড়াশোনা ছেড়ে ভিন্ রাজ্যে কাজ করতে যেতে হচ্ছে। কেন এক জন নাবালক স্কুল ছেড়ে পরিযায়ী হচ্ছে, সেটা ভাবতে হবে।’’
তৃণমূলের জেলার অন্যতম সাধারণ সম্পাদক দেবু টুডুর পাল্টা দাবি, ‘‘গুজরাতে যে সুরক্ষা নেই, বোঝা যাচ্ছে। মৃতদেহ বাড়িতে পৌঁছে না দিয়ে রাস্তায় ফেলে দিয়ে যথেষ্ট অসম্মানের কাজ করা হয়েছে। এ সব কারণেই আমাদের মুখ্যমন্ত্রী ভিন্ রাজ্যে কাজে না গিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য বলেন। নানা প্রকল্পও নিয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy