সরব: কাউন্সিলর ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে পথ অবরোধে বাসিন্দাদের একাংশ। শুক্রবার দুর্গাপুরে। নিজস্ব চিত্র
বিভিন্ন কারখানা থেকে তোলাবাজি-সহ নানা দুর্নীতিতে জড়িত কাউন্সিলর। এলাকায় উন্নয়নেও গা করেন না। এই সমস্ত অভিযোগে শুক্রবার হেডকোয়ার্টার্স এলাকায় দুর্গাপুর পুরসভার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর আলো সাঁতরার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখালেন বাসিন্দাদের একাংশ। হ্যানিম্যান সরণির হেডকোয়ার্টার্স মোড়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা পথ অবরোধও হয়। যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেন আলোদেবী। বিক্ষোভকারীরা নিজেদের তৃণমূল কর্মী হিসেবেই পরিচয় দেন।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, কাউন্সিলর হওয়ার পরে থেকেই নানা দুর্নীতি করছেন আলোদেবী। অভিযোগ, তিনি ও তাঁর অনুগামীরা এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছেন। কেউ প্রতিবাদ করলে হেনস্থা করা হচ্ছে। এ দিন এলাকার বহু মহিলাও এই বিক্ষোভে যোগ দেন। তাঁদেরই এক জন নীলিমা মহন্ত দাবি করেন, ‘‘১৮ বছর ধরে পুরসভার অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭-য় পুরসভা ভোটের পরে আলোদেবী কাউন্সিলর হতেই আমার কাজ চলে যায়। এই ঘটনায় কাউন্সিলরই জড়িত।’’
বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, আলোদেবী কাউন্সিলর হিসেবে এলাকায় কোনও উন্নয়নে নজর দেননি। আরও অভিযোগ, এলাকার স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের জোর করে দলীয় মিটিং-মিছিলে নিয়ে যান তিনি। না গেলে হুমকি দেওয়া হয়। পাশাপাশি, রাতুড়িয়া-অঙ্গদপুর শিল্পতালুকের বিভিন্ন কারখানায় তোলাবাজিও অভিযোগ উঠেছে কাউন্সিলর ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। বিক্ষোভকারীদের তরফে নিলি দাস, মালতি বিশ্বাস, রিতা বাসফোঁড়, সীতা বাসফোঁড়রা বলেন, ‘‘সারা এলাকা জুড়ে স্বেচ্ছাচার চালাচ্ছেন ওই কাউন্সিলর। ওঁকে বদল করা হোক।’’
বিক্ষোভকারীদের দাবি, প্রাক্তন কাউন্সিলর এলাকায় একটি অ্যাম্বুল্যান্স দিয়েছিলেন। কিন্তু আলোদেবী কাউন্সিলর হওয়ার পরে সেই অ্যাম্বুল্যান্সের আর কোনও খোঁজই নেই! এ দিন অবরোধের জেরে কারখানার বহু গাড়ি আটকে পড়ে। এলাকায় কোকআভেন থানার পুলিশ চলে আসে। বিক্ষোভকারীরা জানান, কারখানার ক্ষতির কথা ভেবে তাঁরা অবরোধ তোলেন।
যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আলোদেবী। তাঁর বক্তব্য, ‘‘কোনও সমস্যা থাকলে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকেই জানানো যেত। আমি এলাকার উন্নয়নে বহু কাজ করেছি। কিন্তু আমার বদনাম করার জন্য বিজেপির উস্কানিতে এ সব ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। পুরো বিষয়টি ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানিয়েছি।’’ তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তা দলেই জানানো উচিত। রাস্তায় নেমে প্রকাশ্যে এমনটা করা উচিত নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
তবে এই ঘটনায় দলের জড়িত থাকার দাবি অস্বীকার করেছেন দুর্গাপুরের বিজেপি নেতা অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘‘এ সবই দুর্নীতিপরায়ণ, অনুন্নয়নের কারবারি তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে মানুষের জনরোষ। এ সব ঘটনায় আমাদের কোনও যোগাযোগ নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy