Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪

নীতির লড়াইয়ে তাঁরাই জিতবেন, দাবি ঐশীর

ঐশী জানান, শিক্ষার খরচ সাধ্যের মধ্যে রাখার দাবিতে আন্দোলন করে এসএফআই। এটা তিনি দিল্লিতে কলেজে পড়তে গিয়ে বুঝেছিলেন।

দুর্গাপুরের স্টেশনের কাছে সংবর্ধনা ঐশীকে। বুধবার। নিজস্ব চিত্র

দুর্গাপুরের স্টেশনের কাছে সংবর্ধনা ঐশীকে। বুধবার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ ০৩:০০
Share: Save:

দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (‌জেএনইউ) ছাত্র সংসদের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পরে বাড়ি ফিরলেন দুর্গাপুরের ঐশী ঘোষ। বুধবার সিপিএম এবং এসএফআইয়ের তরফে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ দিন সকালে রাজধানী এক্সপ্রেসে দুর্গাপুর স্টেশনে নামেন তিনি। স্টেশনের কাছেই মঞ্চে তাঁকে স্বাগত জানান দুর্গাপুর পূর্ব কেন্দ্রের সিপিএম বিধায়ক সন্তোষ দেবরায়, সিপিএম নেতা পঙ্কজ রায় সরকার, এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক মৈনাক চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।

ঐশী জানান, শিক্ষার খরচ সাধ্যের মধ্যে রাখার দাবিতে আন্দোলন করে এসএফআই। এটা তিনি দিল্লিতে কলেজে পড়তে গিয়ে বুঝেছিলেন। তিনি দাবি করেন, ‘‘ওখানে আরএসএসের ছাত্র সংসদ ছিল। হাজার-হাজার টাকা খরচ হয় পড়ুয়াদের। অথচ, কোনও আন্দোলন নেই। জেএনইউতে গিয়ে দেখি, বামেদের ছাত্র সংসদ আন্দোলন করে শিক্ষার খরচ এখনও ন্যূনতম রেখেছে।’’

এ দিন ঐশী অভিযোগ করেন, সারা দেশে বিজেপি যে নীতি নিয়েছে, প্রায় একই নীতি নেওয়া হচ্ছে এ রাজ্যেও। ফলে, এখান থেকে ছেলেমেয়েরা পড়াশোনার জন্য ভিন্‌ রাজ্যে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। তাঁর কথায়, ‘‘২০১২ সালে জেএনইউতে এসএফআই করতে নেমে অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে। আন্দোলনের মাধ্যমে এসএফআই সেখানে জায়গা পাকা করেছে। এ রাজ্যেও বামেদের কেউ আটকে রাখতে পারবে না। নীতির লড়াইয়ে আমরাই জয়ী হব।’’

ঐশীর বাবা দেবাশিসবাবু ডিভিসির রঘুনাথপুরের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মী। আগে দুর্গাপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশনের (ডিটিপিএস) কর্মী ছিলেন তিনি। ডিটিপিএস কলোনির আবাসনেই বরাবর তাঁদের বাস। স্কুলে পড়ার সময়ে সিটুর নানা কর্মসূচিতে বাবাকে যোগ দিতে দেখেছেন ঐশী। দিল্লির দৌলতরাম কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করার সময়ে এসএফআইয়ের সংস্পর্শে আসেন তিনি। ২০১৬ সালে জেএনইউ-তে পড়তে গিয়ে সেখানকার বাম নেতৃত্বের অনুপ্রেরণায় পুরোদস্তুর সংগঠনের কাজে নেমে পড়েন। সম্প্রতি ছাত্র সংসদের সভাপতি নির্বাচনে বাম পড়ুয়াদের জোটের প্রার্থী হিসাবে এবিভিপিকে হারিয়ে নির্বাচিত হন ঐশী। তিনি বলেন, ‘‘এসএফআই ভাল ভাবে পড়াশোনা করার পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে আন্দোলন করতেও শেখায়।’’

পুজোর চার দিন সাংগঠনিক কাজকর্ম, মণ্ডপে বইয়ের স্টল উদ্বোধন এবং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাবেন বলে জানান ঐশী।

অন্য বিষয়গুলি:

Aishe Ghosh JNU
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE