পুড়ল গাড়ি। নিজস্ব চিত্র
গরু চুরি করে পাচার করা হচ্ছে সন্দেহে সোমবার আসানসোলের ডাঙমহীশিলা এলাকায় একটি ম্যাটাডর খালি করিয়ে আগুন ধরাল কিছু বাসিন্দা। গাড়িটির চালক ও খালাসিকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ। নামানো হয় র্যাফ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুর ১২টা নাগাদ আসানসোল দক্ষিণ থানা এলাকার ডাঙমহীশিলায় রেলগেটের কাছে গরু বোঝাই একটি ম্যাটাডর আটক করে বিক্ষোভ শুরু করেন কিছু লোকজন। গাড়িটিতে ৯টি গরু ছিল। এলাকাবাসীর একাংশ অভিযোগ তোলেন, গরুগুলি এলাকা থেকে চুরি করে পাচার করা হচ্ছে। অভিযোগ, শতাধিক লোক ম্যাটাডর আটকে চালক ও খালাসিকে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর শুরু করে। গরুগুলিকে নামিয়ে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। বাসিন্দাদের একাংশ চালক ও খালাসিকে বাঁচাতে ছুটে যান। সে নিয়ে দু’পক্ষের গোলমাল বেধে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশের দাবি। শান্তুনু চন্দ নামে এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘দু’জনকে জনতার হাত থেকে উদ্ধার না করা হলে আরও বড় বিপদ ঘটতে পারত। কিন্তু উদ্ধার করতে গিয়ে আমিও মাথায় লাঠি ঘায়ে জখম হয়েছি।’’
গাড়ির চালক ও খালাসিকে উদ্ধার করা গেলেও ম্যাটাডরটি পুড়ে যায়। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান স্থানীয় তৃণমূল পুরপ্রতিনিধি মানস দাস। আসানসোল দক্ষিণ থানা থেকে পুলিশের বড় বাহিনীও আসে। নামানো হয় র্যাফ। দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে আগুন নেভানো শুরু করে। পুলিশকে দেখে বাসিন্দাদের অনেকে অভিযোগ করেন, এই এলাকায় বেশ কিছু দিন ধরে পর পর গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত চার বছরে শতাধিক গরু চুরি গিয়েছে। পুলিশে অভিযোগও করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও চুরি বন্ধ হয়নি।
পুরপ্রতিনিধি মানস বলেন, ‘‘স্থানীয় বাসিন্দারা গরু চুরির অভিযোগ আমার কাছেও একাধিক বার করেছেন। পুলিশের উচিত, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা। পুলিশকে সেই অনুরোধ করেছি।’’ পুলিশ জানায়, এ দিন ঠিক কী ঘটেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে বাসিন্দাদের অভিযোগে গাড়ির চালক ও খালাসিকে আটক করা হয়েছে। গাড়ির মালিককে ডেকে পাঠানো হয়েছে। গরুগুলি পরিবহণের বৈধ নথি ছিল কি না, দেখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy