Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
Liquor Factory Pollution

মদ কারখানার ‘দূষণ’ নিয়ে অবরোধ-বিক্ষোভে পড়ুয়ারাও

বয়স্করাও নানা সমস্যায় ভুগছেন। আট থেকে দশ কিলোমিটার দূরের গ্রামের বাসিন্দারাও সমস্যায় পড়েছেন বলে দাবি তাঁদের।

কাঁকসায় বিক্ষোভ।

কাঁকসায় বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাঁকসা শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২৪ ০৮:২৮
Share: Save:

পানাগড় শিল্পতালুকের মদ কারখানার বিরুদ্ধে এ বার সরব হল স্কুলের পড়ুয়ারা। কাঁকসার মিনিবাজারের বাসিন্দাদের সঙ্গে পড়ুয়াদের একাংশ সোমবার সকাল ১১টা থেকে পানাগড়-দুবরাজপুর রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই কারখানা থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জন্য বার বার প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে আবেদন জানিয়েও লাভ হয়নি। তাই এ দিন তাঁরা রাজ্য সড়কে অবরোধ করেন। কাঁকসা থানার পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনের আশ্বাসে প্রায় আড়াই ঘণ্টা পরে অবরোধ ওঠে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক বছর আগে কাঁকসার ঝিনুকগড় আদিবাসী পাড়ার পাশে ওই বেসরকারি মদ কারখানা তৈরি হয়। স্থানীয়দের দাবি, কারখানা তৈরির পর থেকেই দুর্গন্ধে টেকা যাচ্ছে না। শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বয়স্করাও নানা সমস্যায় ভুগছেন। আট থেকে দশ কিলোমিটার দূরের গ্রামের বাসিন্দারাও সমস্যায় পড়েছেন বলে দাবি তাঁদের। বার বার এ নিয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আধিকারিকেরা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এলাকায় এসেছিলেন। তখন কারখানার গেটের সামনে তাঁদের গাড়ি আটকে মহিলাদের একাংশ বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। তার পরেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে দাবি বাসিন্দাদের। তাই সোমবার মিনিবাজার এলাকার মহিলা, পুরুষ নির্বিশেষে রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন। সকলের হাতে প্ল্যাকার্ড ছিল। লেখা ছিল, বিষাক্ত দুর্গন্ধ বন্ধ করতে হবে। বিক্ষোভকারীদের তরফে প্রীতম্বর পাল, সুরেশ দাসরা বলেন, “আমরা চাই এলাকায় কারখানা হোক। তবে দ্রুত এই দুর্গন্ধ বন্ধ করতে হবে।” পড়ুয়াদের অভিযোগ, কারখানার ওই দুর্গন্ধের কারণে তারা মিড-ডে মিল খেতে পারছে না। বমি হয়ে যায়। অসুস্থ হয়ে পড়ছে।

ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। আসেন যুগ্ম বিডিও শুভেন্দু গঙ্গোপাধ্যায়। প্রায় দুপুর দেড়টা নাগাদ প্রশাসনের তরফে ১০ দিনের মধ্যে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে। শুভেন্দুর দাবি, কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রশাসনের কাছে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, দুর্গন্ধ যাতে না ছড়ায় সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা তাঁরা নিচ্ছেন। কারখানার তরফে নবদ্বীপ থাপর বলেন, “আমরা চাই না স্থানীয়দের সমস্যা হোক। নিয়ম মেনেই কারখানা তৈরি করা হয়েছে। নতুন একটি যন্ত্র লাগানো হচ্ছে। মাস খানেকের মধ্যে সমস্যা মিটে যাবে।”

অন্য বিষয়গুলি:

Kanksa
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy