Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
সরগরম গুসকরা পুরসভা
TMC

দায়িত্ব নিয়েই বিদায়ী বোর্ডের বিরুদ্ধে ‘তোপ’

এ দিন ওই অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য-বিধি না মেনে দলের কর্মী-সমর্থকেরা জড়ো হন বলে অভিযোগ। ছিলেন বিধায়ক অভেদানন্দ থান্দারও। বিরোধীদের দাবি, সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ প্রচুর কর্মী সমর্থক মিছিল করে পুরসভা কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন।

পুরসভার সামনে তৃণমূলের পতাকা হাতে জমায়েত। ছবি: প্রদীপ মুখোপাধ্যায়

পুরসভার সামনে তৃণমূলের পতাকা হাতে জমায়েত। ছবি: প্রদীপ মুখোপাধ্যায়

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুসকরা শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০০:২৫
Share: Save:

সরকারি প্রশাসকের হাত থেকে গুসকরার দায়িত্ব বুঝে নিলেন পুর-প্রশাসকেরা। গত শুক্রবার রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর থেকে গুসকরা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর জন্য তিন জনের নাম পাঠানো হয়। ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর গীতারানি ঘোষ, দু’নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর রত্না গোস্বামী এবং তৃণমূলের গুসকরা শহরের সভাপতি কুশল মুখোপাধ্যায় রয়েছেন সেখানে। চেয়ারপার্সন হিসেবে বাছা হয়েছে গীতারানিদেবীকে। এ দিন দায়িত্ব নিয়েই বিদায়ী পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে সরব হন তিনি।

গীতারানিদেবীর অভিযোগ, “বিদায়ী পুরবোর্ডের দু’-এক জন পদাধিকারী নিজেরাই পুরসভার কাজকর্মের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতেন। বোর্ডে কোনও আলোচনা হত না।’’ ওই বোর্ডের ব্যর্থতার জন্যই গত লোকসভা ভোটে গুসকরায় ১৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৪টিতেই দল পিছিয়ে ছিল বলেও দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘এ বার মানুষের কাছে পৌঁছনোর আপ্রাণ চেষ্টা করব। যাঁরা ভুল বুঝে দূরে সরে গিয়েছিলেন, তাঁদের কাছে টানার চেষ্টা করা হবে।’’ পানীয় জল, নিকাশি, আলো, রাস্তাঘাট, স্বাস্থ্যের মতো বিষয়গুলিকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করা হবে বলেও জানান তিনি।

যদিও দলেরই প্রাক্তন কাউন্সিলরের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিদায়ী পুরপ্রধান বুর্ধেন্দু রায়। তাঁর দাবি, “বোর্ডে আলোচনার মাধ্যমেই সিদ্ধান্ত হয়ে সমস্ত কাজকর্ম হত। উনি নিজেও সভায় উপস্থিত থেকে খাতায় সই করেছেন। এর পরেও এমন অভিযোগ কেন করলেন জানি না।’’ তাঁর পাল্টা দাবি, “দুর্বল সংগঠকের জন্যই লোকসভায় পুরসভায় দলের ভরাডুবি হয়েছে। ওঁরা দায়িত্ব নেওয়ার পরে, দল সব ওয়ার্ডে জিতলে খুশিই হব।’’

এ দিন ওই অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য-বিধি না মেনে দলের কর্মী-সমর্থকেরা জড়ো হন বলে অভিযোগ। ছিলেন বিধায়ক অভেদানন্দ থান্দারও। বিরোধীদের দাবি, সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ প্রচুর কর্মী সমর্থক মিছিল করে পুরসভা কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন। অনেকে কার্যালয়ের ভিতরেও ঢুকে যান। বেশির ভাগের মুখেই মাস্ক ছিল না, অভিযোগ। সিপিএমের বিদায়ী কাউন্সিলার মনোজ সাউয়ের দাবি, ‘‘বর্তমান পরিস্থিতিতে এত মানুষকে কী ভাবে জড়ো করা হল, জানি না। প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে জমায়েত করা হলে পুলিশের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’’ বিজেপির গুসকরা নগর সভাপতি পতিতপাবন হালদারও বলেন, ‘‘গত কয়েকমাসে সরকারি নিয়মকে উপেক্ষা করে একের পরে এক সভা, জমায়েত করেছে তৃণমূল। মানুষের কথা না ভেবে শুধু ভোটের কথা চিন্তা করে ওরা।’’ যদিও অভিযোগ না মেনে তৃণমূলের গুসকরা শহর সভাপতি কুশল মুখোপাধ্যায়ের দাবি, “সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে এসেছিলেন। কাউকে কার্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।’’

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Gushkara
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE