Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
চিন্তা রাজস্ব ঘাটতি নিয়ে
Sand Mining

বালি তোলা বন্ধের নির্দেশ

এত দিন বালি বিক্রির উপরে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও নদী থেকে বালি তোলায় মানা ছিল না।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০২১ ০৬:২০
Share: Save:

করোনা পরিস্থিতির জেরে রাজ্যে বিধিনিষেধের কড়াকড়ি চলাকালীন বালি বিক্রির উপরে নিষেধাজ্ঞা ছিল। বৃষ্টি ও বিভিন্ন ব্যারাজ জল ছাড়া শুরু করার পরে বৃহস্পতিবার থেকে বালি তোলার উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। বালি তোলার জন্য নদীর বুকে অস্থায়ী সেতু বা রাস্তাগুলিকে ৩০ জুনের মধ্যে ভেঙে দেওয়ার জন্যও সংশ্লিষ্ট খাদানের ইজারাদারদের নির্দেশ দিয়েছে সেচ দফতর। অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “নির্দেশ অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

এত দিন বালি বিক্রির উপরে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও নদী থেকে বালি তোলায় মানা ছিল না। ফলে ইজারাদারেরা বালি তুলে নদীর পাড়ে কিংবা কিছুটা দূরে জড়ো করছিলেন। বেআইনি ভাবে বালি পরিবহণ করার জন্য জুন মাসে বেশ কিছু ট্রাক আটক করা হয়। গ্রেফতারও করা হয় কয়েকজনকে। কয়েকজন ইজারাদারের বিরুদ্ধেও পুলিশ মামলা করে। সেচ দফতরের এক কর্তা বলেন, “বালি তোলার জন্য ইজারাদারেরা নদীর চরে রাস্তা কিংবা নদীর বুকে অস্থায়ী সেতু গড়ার অনুমতি নেন। বর্ষা শুরু হলে ওই সব পরিকাঠামো সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এ বছর ৩০ জুনের মধ্যে ওই নির্দেশ কার্যকরী করতে বলা হয়েছে। যাঁরা নির্দেশ অমান্য করবেন, তাঁদের ইজারাদারের লাইসেন্স বাতিল করা হবে।’’

গত বছর লকডাউন ওঠার পরেই বর্ষা শুরু হয়ে যায়। বালির অভাব দেখা দেওয়ায় ও রাজস্বের কারণে ১০ জুলাই পর্যন্ত বালি তোলার মেয়াদ বাড়ায় জেলা প্রশাসন। কিন্তু এ বছর বৃষ্টি শুরু হওয়ায় ও বিভিন্ন ব্যারাজ থেকে জল ছাড়তে শুরু করায় বালি তোলার উপরে ইতিমধ্যেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পূর্ব বর্ধমানে দুশোটির মতো সরকার অনুমোদিত খাদান রয়েছে। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর সূত্রে জানা যায়, রাজ্য বিধিনিষেধ চালু থাকায় গত দু’মাস বালি বিক্রি হয়নি। ফলে বালি থেকে কোনও আয় না হওয়ায় জেলার রাজস্ব আদায় তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। প্রশাসনের কর্তাদের দাবি, গত বছর করোনা-আবহে প্রকৃতপক্ষে চার মাস বালির ব্যবসা হয়েছে। গত বছরে পূর্ব বর্ধমানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫০ কোটি টাকা। দিনের শেষে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৪৭ কোটি টাকা। এ বছর এখনও পর্যন্ত জেলায় রাজস্ব আদায় হয়েছে প্রায় কোটি টাকা। তবে প্রশাসনিক আধিকারিকেরা মনে করছেন, বালি বিক্রি শুরু হলেই রাজস্ব আদায় এক ধাক্কায় বেড়ে যাবে।

অন্য বিষয়গুলি:

Sand Mining
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy